গণহত্যার অভিযোগে দায়ের করা অধিকাংশ মামলার প্রধান আসামি শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য নবনিযুক্ত চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
দায়িত্ব গ্রহণের পর রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
চিফ প্রসিকিউর বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধী বিনিময় চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তির আলোকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। গণহত্যা মামলার অন্য যারা আসামি রয়েছেন তারা যেন দেশের বাইরে পালিয়ে যেতে না পারেন, সে বিষয়ে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গণহত্যার এভিডেন্স নষ্ট হওয়ার আগেই সংরক্ষণ করা বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেশবাসীর কাছে আহবান জানাচ্ছি, আলামত নষ্ট হওয়ার আগেই যার কাছে গণহত্যা, নির্যাতনের যে এভিডেন্স আছে আপনারা ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে বা তদন্ত সংস্থার কাছে জমা দিন।
এক প্রশ্নের জবাব নবনিযুক্ত চিফ প্রসিকিউটর বলেন, শেখ হাসিনাসহ যত প্রভাবশালী আসামিই হোক না কেন সবার সঙ্গে সমান আচরণ করা হবে। কারো প্রতি যেমন জুলুম করা হবে না, তেমনি কাউকে ছাড়ও দেওয়া হবে না।
ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা, প্রসিকিউটর দল অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসে পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে বলে জানায় নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রসিকিউটর টিম।
একটি মামলায় ২৯ সাংবাদিকের নাম দেওয়ার বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামিম, বি এম সুলতান মাহমুদ ও আব্দুল্লাহ আল নোমান।