মঙ্গলবার , ৬ আগস্ট ২০২৪ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার ঘটনায় বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগ, হাসিনা সরকারের মন্ত্রী, এমপিদের বাসায় ভাঙচুর

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ৬, ২০২৪ ১:৪১ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন শেখ হাসিনা। গতকাল ৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে চড়ে দেশ ছাড়েন তিনি। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও দেশ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে। সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে তীব্র গণ-আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ও দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। এর সঙ্গে সঙ্গে অবসান ঘটল আওয়ামী লীগের টানা দেড় দশকের শাসনের। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের কাছে পরাজয়ের পর ২০০৯ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারো ক্ষমতায় এসেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর ২০১৪, ২০১৯ ও ২০২৪-এর নির্বাচনে জয়লাভ করে সব মিলিয়ে পরপর চারবার সরকার গঠন করে দলটি। যদিও ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনই ছিল ব্যাপক প্রশ্নবিদ্ধ।

জনরোষের মুখে শুধু পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার ঘটনা মানতে পারছেন না আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও মন্ত্রীরা। তাঁরা বলছেন, তিনি দেশ ছেড়ে যদি যাবেনই, তাহলে শেষ মুহূর্তে দলের নেতা-কর্মীদের কেন আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি দাঁড় করালেন?

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁর মন্ত্রিসভার ছয়জন সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচ নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁরা জানান, শেখ হাসিনা সোমবারই দেশ ছাড়বেন, এটা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি। এ ছাড়া তিনি পদত্যাগ করতে পারেন, এমন কোনো ইঙ্গিতও দেননি।

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়বেন, গতকাল দুপুরের দিকে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এমন খবর শোনার পর মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দলের নেতা-কর্মীরা অনেকটা হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। এরপর মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্য ও নেতা-কর্মী নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে থাকেন। অবশ্য পরিস্থিতির কারণে দু-একজন রোববার রাতে ও গতকাল সকালে দেশ ছেড়েছেন। কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের দেশের বাইরে পাঠিয়েছেন।

জনরোষের মুখে শুধু পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার ঘটনা মানতে পারছেন না আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও মন্ত্রীরা। তাঁরা বলছেন, তিনি দেশ ছেড়ে যদি যাবেনই, তাহলে শেষ মুহূর্তে দলের নেতা-কর্মীদের কেন আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি দাঁড় করালেন?

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁর মন্ত্রিসভার ছয়জন সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচ নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁরা জানান, শেখ হাসিনা সোমবারই দেশ ছাড়বেন, এটা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি। এ ছাড়া তিনি পদত্যাগ করতে পারেন, এমন কোনো ইঙ্গিতও দেননি।

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়বেন, গতকাল দুপুরের দিকে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এমন খবর শোনার পর মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দলের নেতা-কর্মীরা অনেকটা হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। এরপর মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্য ও নেতা-কর্মী নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে থাকেন। অবশ্য পরিস্থিতির কারণে দু-একজন রোববার রাতে ও গতকাল সকালে দেশ ছেড়েছেন। কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের দেশের বাইরে পাঠিয়েছেন।

জনরোষের মুখে শুধু পরিবারের সদস্যদের নিয়ে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার ঘটনা মানতে পারছেন না আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও মন্ত্রীরা। তাঁরা বলছেন, তিনি দেশ ছেড়ে যদি যাবেনই, তাহলে শেষ মুহূর্তে দলের নেতা-কর্মীদের কেন আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি দাঁড় করালেন?

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তাঁর মন্ত্রিসভার ছয়জন সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচ নেতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁরা জানান, শেখ হাসিনা সোমবারই দেশ ছাড়বেন, এটা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি। এ ছাড়া তিনি পদত্যাগ করতে পারেন, এমন কোনো ইঙ্গিতও দেননি।

শেখ হাসিনা দেশ ছাড়বেন, গতকাল দুপুরের দিকে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এমন খবর শোনার পর মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দলের নেতা-কর্মীরা অনেকটা হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন। এরপর মন্ত্রিসভার অধিকাংশ সদস্য ও নেতা-কর্মী নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে থাকেন। অবশ্য পরিস্থিতির কারণে দু-একজন রোববার রাতে ও গতকাল সকালে দেশ ছেড়েছেন। কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের দেশের বাইরে পাঠিয়েছেন।

প্রধান বিচারপতির বাসভবন, আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত বাসভবন সুধা সদনসহ রাজধানীতে বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, দলীয় সংসদ সদস্য ও নেতাদের বাসভবন ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানেও হামলার ঘটনা ঘটে। হামলা ও আগুন দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে।

গতকাল সোমবার রাত পৌনে ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দেশের অন্তত ৪৪ জেলায় এসব হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বিদায়ী সরকারের ৯ জন মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রী এবং অন্তত ২৭ জন সংসদ সদস্যের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলার ২৭টি সরকারি স্থাপনায় হামলার খবর পাওয়া গেছে। এর আগে গত রোববার ৩৯ জেলায় জনপ্রতিনিধিদের বাসাবাড়ি, আওয়ামী লীগ কার্যালয়, থানাসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়।

গতকাল ছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি। কারফিউ অমান্য করে হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে আসতে শুরু করেন। দুপুরের দিকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের কথা জানাজানি হলে ঢাকার রাজপথে নেমে আসেন লাখো জনতা। খণ্ড খণ্ড মিছিল বিভিন্ন এলাকায় যেতে থাকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, পৌনে পাঁচটার দিকে যখন একদল মানুষ প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে পড়েন, তখন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না। ভাঙচুরের পাশাপাশি বাসভবনে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তখন বিদ্যুৎ–সংযোগ ছিল বিচ্ছিন্ন। এর কিছুক্ষণ আগে প্রধান বিচারপতি বাসভবন থেকে বের হন।

গতকাল বিকেলে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর করা হয়। বিকেল পাঁচটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কিছু মানুষ দেয়াল টপকে ১৯ হেয়ার রোডে অবস্থিত প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকছিলেন। ভেতর থেকে চিৎকার, হইহুল্লোড় ও ভাঙচুরের শব্দ শোনা যাচ্ছিল।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, পৌনে পাঁচটার দিকে যখন একদল মানুষ প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ঢুকে পড়েন, তখন নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন না। ভাঙচুরের পাশাপাশি বাসভবনে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তখন বিদ্যুৎ–সংযোগ ছিল বিচ্ছিন্ন। এর কিছুক্ষণ আগে প্রধান বিচারপতি বাসভবন থেকে বের হন।

বেলা তিনটার দিকে ধানমন্ডির ৫ নম্বরে অবস্থিত শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত বাসভবন সুধা সদনে ভাংচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অনেককে বাড়ি থেকে জিনিসপত্র বের করে নিয়ে চলে যেতে দেখা যায়। গুলশানে শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার জন্য বরাদ্দ করা বাড়িতেও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

এ ছাড়া বিভিন্ন স্থাপনার সামনে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ভাংচুর করা হয়। রাজধানীতে বিভিন্ন দোকানে ভাংচুর চালাতে দেখা গেছে।

ধানমন্ডির ৩/এ–তে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কার্যালয়েও অগ্নিসংযোগ করা হয়। কার্যালয়ের সামনে নানা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

ধানমন্ডিতে সদ্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বাসায়ও হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। গতকাল বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ফটক ভেঙে অনেকে তাঁর বাসায় ঢুকে পড়েন। বাসার ভেতর থেকে ধোঁয়াও বের হতে দেখা গেছে। ভেতরে ভাঙচুর করা হয়।

গতকাল বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় পাশের গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাজধানীর ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সড়কে অবস্থিত ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের বাসভবনে লুটপাট চালানো হয় সন্ধ্যায়।

এ ছাড়া বিভিন্ন স্থাপনার সামনে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি ভাংচুর করা হয়। রাজধানীতে বিভিন্ন দোকানে ভাংচুর চালাতে দেখা গেছে।

মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীদের বাসভবনে হামলা

ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় হাসিনা সরকারের সদ্য সাবেক মন্ত্রী–প্রতিমন্ত্রীদের নিজ এলাকার বাসভবনে হামলা–ভাংচুর হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, নওগাঁ শহরের পোস্টঅফিস পাড়ায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান, চাঁদপুরে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি ও মেহেরপুরে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাসভবনে ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়।

সদ্য সাবেক প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে নাটোরের সিংড়া উপজেলা সদরের গোডাউনপাড়ায় জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের বাড়িতে জনতা আগুন জ্বালিয়ে দেন। এখানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

পাবনায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হকের বাসায়ও ভাংচুর চালানো হয়।

সদ্য সাবেক প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে নাটোরের সিংড়া উপজেলা সদরের গোডাউনপাড়ায় জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের বাড়িতে জনতা আগুন জ্বালিয়ে দেন। এখানে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সিলেট নগরের শাপলাবাগে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীর বাসভবন ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার বাসভবনেও হামলা হয়েছে।

সংসদ সদস্যদের মধ্যে বরিশালে আমির হোসেন আমু, নড়াইলে মাশরাফি বিন মর্তুজা, নারায়ণগঞ্জে সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান, নওগাঁয় নিজাম উদ্দিন জলিল, সিলেটে রণজিত চন্দ্র সরকার, মাদারীপুরে শাজাহান খান, ময়মনসিংহে শরীফ আহমেদ ও মোহিত উর রহমান, নাটোরে শফিকুল ইসলাম, বগুড়ায় মজিবর রহমান, খুলনায় মন্নুজান সুফিয়ান ও এস এম কামাল হোসেন, পঞ্চগড়ে নাঈমুজ্জামান ভূঁইয়া, ফেনীতে নিজাম উদ্দিন হাজারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আবদুল ওদুদ, লক্ষ্মীপুরে নুরুউদ্দীন চৌধুরী, জামালপুরে মির্জা আজম, বরগুনায় গোলাম সরোয়ার, মাদারীপুরে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, শেরপুরে ছানুয়ার হোসেন, সাতক্ষীরায় ফিরোজ আহমেদ, বান্দরবানে বীর বাহাদুর উশৈসিং, চুয়াডাঙ্গায় সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ও আলী আজগরের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত