ইসরাইল-ফিলিস্তিনের মধ্যকার সংঘর্ষে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যকার হামলা-পাল্টা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। বিবিসির খবর।
এদের মধ্যে গাজা থেকে হামাসের মুর্হুমুর্হু রকেট হামলায় ইসরাইলে কমপক্ষে ২০০ জন নিহত হয়েছে, আর ইসরায়েলি বাহিনীর পাল্টা হামলায় গাজায় নিহত ২৩২ জন ছাড়িয়েছে। উভয় দেশে আহতের সংখ্যা হাজারেরও বেশি। খবর সিএনএন ও বিবিসির।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যে ইসরাইলের ওপর এটিই হামাসের সবচেয়ে বড় ধরনের হামলা। অন্যদিকে গাজাতেও হামলা শুরু করেছে ইসরাইল বাহিনী। ফিলিস্তিন স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরাইল বাহিনীর হামলায় একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও অনেকে। ইসরায়েল বলছে, গাজায় হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে যুদ্ধ বিমান দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে।
সিএনএন জানিয়েছে, ইসরাইলের বিভিন্ন অংশে এখনো হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। অন্যদিকে গাজায়, হামাসের স্থাপনা লক্ষ্য করে অতর্কিত হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরায়েল নতুন করে সেনা সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজা সীমান্ত সংলগ্ন ২২টি এলাকায় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের লড়াই চলছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইসরাইল সরকার দেশজুড়ে ৪৮ ঘণ্টার জরুরি অবস্থা জারি করেছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে বড় ভুল করেছে হামাস। এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এদিকে হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-অরোরি বলেছেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্যই আমরা যুদ্ধ শুরু করেছি। যেকোনো পরিস্থিতির জন্য আমরা এখন প্রস্তুত।