সোমবার , ২৬ জুন ২০২৩ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট পাস 

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুন ২৬, ২০২৩ ২:৪৬ অপরাহ্ণ

চোখে পড়ার মতো বড় কোনও সংশোধনী ছাড়াই পাস হয়েছে নতুন অর্থবছরের বাজেট। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘নির্দিষ্টকরণ বিল-২০২৩’ সংসদে উপস্থাপন করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়।

এর আগে গত ১ জুন ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা’ শীর্ষক এবারের বাজেট উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটাই লক্ষ্য। সেটি হচ্ছে- ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। এবারের বাজেটে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী ভৌত, সামাজিক ও প্রযুক্তি অবকাঠামো বিনির্মাণের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যাতে স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার এবং সর্বোপরি স্মার্ট অর্থনীতি গঠনের পথ সুগম হয়।

সংসদ সদস‌্য প্রস্তাবিত এই বাজেটেন ওপর দীর্ঘ আলোচনায় অংশ নেন। রবিবার (২৫ জুন) সংসদে অর্থবিল পাস হয়। আগামী ১ জুলাই থেকে এ বাজেট কার্যকর হবে। এর আগে রাষ্ট্রপতির সম্মতি সাপেক্ষে ‘নির্দিষ্টকরণ আইন-২০২৩’ গেজেট আকারে প্রকাশ হবে। সাধারণত প্রতিবছর ২৯ বা ৩০ জুন বাজেট পাস হয়, তবে এবার ঈদুল আজহার কারণে কিছুটা আগেভাগেই পাস হলো।

সোমবার পাস হওয়া এ বাজেট সরকারের টানা তিন মেয়াদের ১৫ তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৪ তম বাজেট। এটি সরকারের চলতি মেয়াদের শেষ এবং বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পঞ্চম বাজেট।

 

মঞ্জুরি দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাব

নতুন অর্থবছরের বাজেটের ওপর সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ খাতের ৫৯টি মঞ্জুরি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, গণফোরাম ও স্বতন্ত্রসহ ১০ জন সংসদ সদস‌্য মোট ৫০৩টি ছাঁটাই প্রস্তাব আনেন। এর মধ‌্যে কেবল বাণিজ‌্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ‌্য সেবা বিভাগের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। সব প্রস্তাবই কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। অন‌্যান‌্য বছর বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হলেও এবার মাত্র দুটি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের ওপর আলোচনা হয়েছে।

বাজেটের উল্লেখযোগ্য দিক

নতুন অর্থবছরের বাজেটে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এটি চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় এক লাখ এক হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। বাজেটের এই ব্যয় মেটাতে মোট কর আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এই লক্ষ্যমাত্রা ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলণায় ৬৭ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা বেশি।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, নতুন অর্থবছরের বাজেটে সরকারের মোট ব্যয় নির্বাহের লক্ষ্যে এনবিআরকে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এর বাইরেও এনবিআর বজির্ভূত কর আদায়ের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। কর ব্যাতীত সরকারের আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। সরকারের পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৮১ কোটি টাকা।

আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশের ঘরে রাখা হয়েছে। টাকার অঙ্কে ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ (অনুদানসহ) ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। ঘাটতি মেটাতে বিদেশি ঋণ বাবদ পাওয়া যাবে এক লাখ ২ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। সরকার অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন খাত থেকে ঋণ নেবে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ঋণের মধ্যে সরকার ব্যাংক ব্যবস্থাপনা থেকে নেবে ১ লাখ ২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে নেবে ১৮ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে নেবে ৫ হাজার কোটি টাকা।

নতুন বছরের বাজেটে মুল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই সরকার যেভাবেই হোক আগামী অর্থবছরে মুল্যস্ফতির লাগাম ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যেই টেনে রাখতে চায়। নতুন অর্থবছরের জিডিপি হার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। নতুন অর্থবছর মোট জিডিপির পরিমান ধরা হয়েছে ৫০ লাখ ৬ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা।

উচ্চপ্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা নিয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রাক্কলন করা হয়েছে জিডিপি। আগামী বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, নতুন অর্থবছরের বাজেটে এনবিআরকে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট দেওয়া হয়েছে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। এনবিআর বজির্ভূত কর আদায়ের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। সরকারের পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৮১ কোটি টাকা। কর রাজস্ব আদায়ের অঙ্ক চলতি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬২ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক