দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সভা ডেকেছে আওয়ামী লীগ। শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশেষ বর্ধিতসভায় তৃণমূল নেতাদের কথা শোনার পর এবার দলের কার্যনির্বাহী সংসদের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন শেখ হাসিনা।
সেখানে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নেতাকর্মীদের ‘বিশেষ বার্তা’ দেবেন তিনি। এ ছাড়া বৈঠকে নির্বাচনের প্রস্তুতি, তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিভেদ মিটিয়ে ঐক্যবদ্ধ থাকা, বিএনপিসহ বিরোধীদের আন্দোলন মোকাবিলাসহ নানা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। দলীয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, আজকের বৈঠকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে দলের ৮ বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের দেওয়া রিপোর্টগুলোর চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হবে।
বিশেষ বর্ধিতসভায় যে সমস্যাগুলো তৃণমূলের নেতারা জানিয়েছেন, সেগুলোর বিষয়েও নিদের্শনা দিতে পারেন দলের প্রধান। বিভিন্ন সময় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নৈতিক স্খলনের কারণে বহিষ্কৃত নেতাদের দলে ফিরিয়ে আনা যায় কিনা তা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
নানা অভিযোগ থাকলেও দলের জন্য বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন অথবা বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে মার খেয়েছেন, জেল খেটেছেন তাদের শর্ত দিয়ে ক্ষমা করে পদ-পদবি ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি নির্বাচনী ইশতেহারের কতটুকু অগ্রগতি হলো সে বিষয়টিও আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সভার সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা আছে। সেসব বিষয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া সমসাময়িক রাজনীতি, আমাদের লক্ষ্য, দলের ভেতরের সমস্যাসহ নানা বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসবে।
আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের একাধিক নেতা জানান, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ অবস্থায় কার্যনির্বাহী সভায় স্বভাবতই নির্বাচনে দলের করণীয় নিয়ে কথা হবে। নির্বাচনের আগে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের তাগাদা দেবেন শেখ হাসিনা। থাকবে নির্বাচনি বিশেষ বার্তাও। এছাড়াও দিবসভিত্তিক কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে চলমান আলোচনা, বিরোধী দলগুলোর লাগাতার আন্দোলন মোকাবিলায় করণীয় এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
সূত্র আরও জানায়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক থেকে দলের তৃণমূল নেতাদের জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি নিতে দিকনির্দেশনা দেবেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় এতদিন সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন এইচটি ইমাম। তার মৃত্যুর পর এখন কার কাঁধে এ দায়িত্ব পড়বে, তা নিয়ে আওয়ামী লীগে নানা ধরনের আলোচনা রয়েছে। সেই বিষয়েও আজকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।