সব মামলায় জামিনের পরও কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন না বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সর্বশেষ মানহানির অভিযোগে গোপালগঞ্জে করা এক মামলায় গত মঙ্গলবার জামিন পান তিনি। ওই দিন গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে প্রায় অর্ধশতাধিক মামলার সবটিতেই জামিন পান তিনি। ফলে কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন তার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ।
বৃহস্পতিবার বিকালে কারাগারে স্বামীকে আনতে যান রিজভীর স্ত্রী আরজুমান আরা বেগম। তবে তাকে কারাগারের ভেতরে যেতে দেওয়া হয়নি। পরে বাইরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে তিনি রাত ৮টার দিকে আদাবরের বাসায় ফিরে যান। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের জানান, গোপালগঞ্জের মামলায় জামিনের পর আদেশ ই-মেইলের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি; কিন্তু কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জানানো হয় যে, জামিননামার মূল কপি লাগবে; তা না হলে জামিন হবে না।
রিজভীর স্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল যুগেও যদি মূলকপি দেখিয়ে মুক্ত হতে হয় তাহলে এমন ডিজিটালের প্রয়োজনটা কী? এ সময় মানসিকভাবে হয়রানি করার অভিযোগ তোলেন তিনি।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে ঘিরে ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। ওই দিনই বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। সেদিন রুহুল কবির রিজভীকেও আটক করে কারাগারে নেওয়া হয়। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। কারাগারে তিনি কয়েকবার অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।
বিএনপির এই নেতা সব মামলায় জামিন পেলেও ঈদের আগে মুক্তি না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।