জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, বিশ্ব আজ এক ভয়াবহ সংকট অতিক্রম করছে। হিংসা, বিদ্বেষ, অসহযোগিতা, অসহনশীলতা, অন্যায্যতা, অমানবিকতায় পূর্ণ আমাদের বিশ্বব্যবস্থা। ক্ষুধা, দরিদ্রতা ও অপুষ্টিতে অগণিত মানুষ আজ দিশেহারা। সমাজে বৈষম্য আজ প্রকট আকার ধারণ করেছে। জরুরি ভিক্তিতে এসব সংকটের সমাধান প্রয়োজন।
রাজধানীর বনানীতে হোটেল শেরাটনে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ সুশীল সমাজের সম্মানে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি শুক্রবার এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি-জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, শিক্ষাবিদ ড. আসিফ নজরুল, ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার প্রমুখ।
এছাড়া আমেরিকান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফাভ, ডেপুটি কাউন্সিলর (পলিটিক্স অ্যান্ড ইকোনমি) আরতুরো হাইন্স, কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস, সিঙ্গাপুরের কনস্যুলার শিলা পিলাই, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ডেপুটি রাষ্ট্রদূত বার্নড স্পেনিয়ার, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অব পার্টি ডানা এল. ওল্ডস, ডেপুটি চিফ অব পার্টি লেসলি রিচার্ডস, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত নারদিয়া সিম্পসন, ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটার, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের রাজনৈতিক কাউন্সিলর ইরোজ রাব্বানী, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় পার্টির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এমপি, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, ফখরুল ইমাম, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এটিইউ তাজ রহমান, সৈয়দ মো. আবদুল মান্নান, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মিজানুর রহমান, নাজমা আক্তার, সৈয়দ দিদার বখত, লিয়াকত হোসেন খোকা, এমরান হোসেন মিয়া, মোস্তফা আল মাহমুদ, আতিকুর রহমান, মো. জহিরুল ইসলাম, জহিরুল আলম রুবেল, শেরীফা কাদের, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান এমপি, শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুন্নাহার বেগম এমপি, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও বিশেষ দূত মাসরুর মওলা।
এ সময় জিএম কাদের আরও বলেন, মানুষ হত্যার মতো জঘন্য অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। সশস্ত্র সহিংসতা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত জেনেভা ঘোষণা অনুযায়ী সশস্ত্র সংঘাত এবং সহিংসতার কারণে প্রতি বছর পাঁচ লাখের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। এ দ্বন্দ্ব সংঘাতে শুধু মানুষই মারা যাচ্ছে না লাখ লাখ মানুষ আজ বছরের পর বছর নিজ ঘরবাড়ি ছেড়ে দেশান্তরিত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদন অনুযায়ী নিপীড়ন, সংঘাত, সহিংসতা, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা জনশৃঙ্খলাকে গুরুতরভাবে বিঘ্নিত করার ঘটনাগুলোর ফলে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ১০৮.৪ মিলিয়ন মানুষ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিবেদন অনুসারে, প্রায় ৮২৮ মিলিয়ন মানুষ যা বিশ্বের জনসংখ্যার ১০ শতাংশ প্রতি রাতে ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যায়, যা আগের বছরের তুলনায় ৪৬ মিলিয়ন বেশি।