সরকার দেশে ‘নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা’ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তৃণমূলে চলমান কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীনদের হামলার ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ত্রাস সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে, দলীয় কার্যালয়ে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা চালাচ্ছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে, নেতা-কর্মীদের খুন-জখম করছে। নেতা-কর্মীদের বাসা-বাড়িতে হামলা করে তারা এখন একটা নতুন মাত্রা যোগ করেছে। একবারও চিন্তা করছে না যে কাজটা তারা শুরু করেছে এটা সমগ্র দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে। আন্দোলনে ভীত হয়ে অবৈধ সরকার সন্ত্রস্ত হয়ে আবার সেই দমননীতি শুরু করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, উপজেলা-থানা-পৌরসভা-ইউনিয়ন পর্যায়ের ঘোষিত কর্মসূচি ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। যেসব উপজেলা ও থানায় কর্মসূচি হয়নি সেগুলোতে এই কর্মসূচি পালিত হবে। এর পর আমরা পরবর্তি কর্মসূচি ঘোষণা করব।
জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ২২ আগস্ট থেকে উপজেলা-থানা-পৌরসভা-ইউনিয়ন পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী বললেন কাউকেই গ্রেফতার করা হবে না, সভা-সমিতির সব কিছু করতে দেয়া হবে। এখন দেখা যাচ্ছে ঠিক উল্টা কাজটি তারা করছেন। তারা কথা বলবেন একটা আর কাজ করবেন আরেকটা। এটাই আওয়ামী লীগের চরিত্র। তাদের যে সন্ত্রাসী চরিত্র সেটা আরো একবার এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে জনগনের কাছে উদ্ভাসিত হয়েছে। এভাবেই তারা গণতন্ত্রকে ধবংস করে দেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রের পরিণত করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে যশোর, মুন্সিগঞ্জ, টাঙ্গাইল, ফেনী, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, বাগেরহাট, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, ঠাকুগাঁও, লক্ষীপুর, ময়মনসিংহ, মাগুরা, গাইবান্ধা, বরিশাল, খুলনা, নেত্রকোনা, ব্রাক্ষনবাড়ীয়া, নরসিংদী, রাজশাহী, নোয়াখালী, ভোলা, নাটোর, কুমিল্লা ও নড়াইলের বিভিন্ন উপজেলায় গত ২২ আগস্ট থেকে চলমান বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশি হামলার ঘটনাসমূহ তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, এই পর্যন্ত এসব হামলায় আহত হয়েছেন সাড়ে ৭‘শ অধিক নেতা-কর্মী। কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর নামে দায়ের করা হয়েছে মিথ্যা মামলা। গ্রেফতার করা হয়েছে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, আবুল কালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু, সাইফুল আলম নিরব, আনোয়ার হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
