দেশের সর্ববৃহৎ কওমিপন্থি সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা খলিল আহমাদ কাসেমী বলেছেন, দেশে কুরআন সুন্নাহর আলোকে ইনসাফ ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে স্বাধীনতার সত্যিকার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা সরকার পতন আন্দোলন করে না, তবে বাধ্য করলে কোনো উপায় থাকবে না। এছাড়া নুরানি মাদ্রাসা বন্ধের ষড়যন্ত্র করা হলে তার দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। মাওলানা মাহমুদুল হককে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
শুক্রবার রাজধানীর বারিধারায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘পবিত্র মাহে রমজানের তাৎপর্য ও করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা খলিল আহমাদ কাসেমী বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৬৮ হাজার গ্রাম রয়েছে। প্রত্যেক গ্রামে হেফাজতের কমিটি গঠন করতে হবে। তৃণমূল থেকে তথা, ধারাবাহিকভাবে গ্রাম, ইউনিয়ন, থানা, জেলা এবং বিভাগ কমিটি গঠন করে হেফাজতকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, জামিন পাওয়া দেশের প্রত্যেক নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার। একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিককে জামিন না দিয়ে বছরের পর বছর জেলে আটকে রাখা দেশে বিচারহীনতার প্রমাণ বহন করে। বিচারহীনতার এই ধারাবাহিকতা আর চলতে দেওয়া যায় না। মাওলানা মামুনুল হক দেশের একজন বিশিষ্ট আলেমদ্বীন।
তারা বলেন, ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এখনো তিনি কারাবন্দি হয়ে আছেন। আমরা ঈদের আগেই মামুনুল হককে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া ২০১৩ সাল থেকে অদ্যাবধি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নামে দায়েরকৃত সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন আল্লামা আব্দুল হামিদ, মাওলানা আবদুল আউয়াল, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক, মাওলানা ড. আহমদ আব্দুল কাদের, মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা খুরশিদ আলম কাসেমী, মাওলানা আজিজুল ইসলাম ইসলামাবাদী, মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মুফতি মাসউদুল করীম, মাওলানা মুফতি বশির উল্লাহ, মাওলানা শওকত হোসাইন সরকার, মাওলানা বোরহান উদ্দিন কাসেমী এবং মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন মাওলানা জসিম উদ্দীন, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা জাবের কাসেমী, মুফতি আজহারুল ইসলাম, মাওলানা গাজী ইয়াকুব উসমানী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা শামসুল ইসলাম জিলানী, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মাওলানা শরিফুল্লাহ, মাওলানা আফসার মাহমুদ, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা সানাউল্লাহ খান, মাওলানা শরিফ হোসাইন ও মাওলানা এনামুল হাসান ফারুকী প্রমুখ।