বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেনজীর-আজিজদের বিদেশে পাঠিয়ে দিয়ে তদন্ত নিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আকে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, সবাই আওয়ামী লীগের জারিজুরি ধরে ফেলেছে। দেশের মানুষকে আওয়ামী লীগ আহাম্মক মনে করে।
দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাপক সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠা পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে বিদেশে চলে গেছন বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে।
সরকারের মন্ত্রীরা বলছেন, বেনজীর বিদেশে গেছেন কি না তা জানেন না তারা।
শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তিনি জানেন না বেনজীর দেশ ছেড়েছেন কি না।
বিএনপির মহাসচিবের দাবি, আওয়ামী লীগ তাদেরকে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা মানুষকে বোকা বানানোর জন্য তাদের বিচারের এবং তদন্ত জন্য কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে বক্তব্য দিচ্ছেন।
ফখরুল বলেন, ৭১ থেকে ৭৫ সালে আওয়ামী দুঃশাসন ছিল। দুর্নীতির কারনে ৭৪ সালে দুর্ভিক্ষ হয়েছে। আকন্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। জিয়াউর রহমানের দূরদর্শিতার কারণে তলাবিহীন জুড়ি থেকে বাংলাদেশকে উন্নত দিকে নিয়ে গেছে।
বিএনপি মহাসচিবের দাবি, জিয়ার ডাকে সবাই যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলো। অসাধারণ নেতৃত্বের অধিকারী ছিলেন জিয়া। এ লড়াই সাধারণ লড়াই নয়, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক লড়াই, ৬০ লাখ আসামি, বেগম জিয়া এখনো কারাগারে তাকে মুক্ত করতে পারিনি। লড়াই থেমে যায়নি যতক্ষণ বিজয় অর্জন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত লড়াই চলবে।
তিনি বলেন, বিএনপি সবচেয়ে বড় দল। সঠিকভাবে চলার কাজ শুরু করেছি। বিএনপির রিসার্চ সেল আছে।
বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবি ও পেশাজীবিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরিয়ে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে বিএনপি। এখনো পিছপা হয়নি। বিজয় অর্জন করতেই হবে। সাফল্য আনতেই হবে। অবশিষ্ট লক্ষ্য থেকে সরে আসবে না বিএনপি, মাঝে মধ্যে কৌশল পরিবর্তন হবে।
গত ৪ মে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসে করে বেনজীর কীভাবে দেশত্যাগ করলো তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ফখরুল।
তিনি বলেন, মানুষের সাথে প্রতারণা করছে সরকার। অসংখ্য বেনজীর-আজিজ সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। লুটের সাম্রাজ্য তৈরি করেছে সরকার। লড়াই সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে সরকারকে পরাজিত করে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।