সাত দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ।
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে নীতিমালা অনুযায়ী ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন, চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট প্রদান করা, কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন করা, বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করাসহ ৭ দফা দাবি জানান সংগঠনের নেতারা।
এছাড়াও ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশাসহ নিহত-আহত সকল শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিও করেন তারা।
রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি জালাল আহমেদ বলেন, সারা দেশে ৫০ লাখ মানুষ ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ঋণ নিয়ে, জমি বন্ধক রেখে, পুলিশি নির্যাতন, অবৈধ চাঁদাবাজি মোকাবিলা করে ৫০ লাখ মানুষ বছরে দেশের জাতীয় অর্থনীতিতে প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার অবদান রাখছেন। তারা কোনও প্রণোদনা বা সরকারি সহায়তা ছাড়াই আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এই ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধ করা হলে অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। তাই অতিদ্রুত সুপ্রিমকোর্টের আদেশ পুনর্বিবেচনা করে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দিতে হবে।
৭ দফা দাবি হলো-
- নীতিমালা অনুযায়ী ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন, চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট প্রদান করতে হবে।
- কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন করতে হবে। চালক-মেকানিক-মালিকসহ ৬০ লাখ ও তাদের ওপর নির্ভরশীল প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ করা যাবে না।
- ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশাসহ নিহত-আহত সকল শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
- বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করতে হবে।
- প্রতিটি সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত, স্বল্প গতির ও লোকাল যানবাহনের জন্য সার্ভিস রোড/বাই লেন নির্মাণ করে সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা নিরসন করতে হবে। ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাটারি রিকশা ও ইজিবাইক জব্দ বন্ধ করতে হবে। জব্দকৃত গাড়ি ও ব্যাটারি ফিরিয়ে দিতে হবে।
- চালকসহ সংশ্লিষ্টদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে সড়কের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সড়কে চাঁদাবাজি, হয়রানি, ব্যাটারি ছিনতাই বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা ও ছিনতাই চক্রের হোতাদের গ্রেপ্তার করতে হবে। চালকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
- সকল শ্রমিকের জন্য আর্মি রেটে রেশন, পেনশন ও বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।