বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম ব্যবহার করে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে ‘ওয়েলএক্স পে’ নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। বাংলাদেশে মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান সোনিয়া বশীর কবীরকে প্রতিষ্ঠাতা বলে ভুয়া দাবিও করেছে সংস্থাটি। চক্রটির দাবি, এদেশে পেমেন্ট সার্ভিস অপারেশন, পিএসও লাইসেন্স পেয়েছে তারা। তবে, এই দাবিকে ভূয়া বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
কয়েকটি কোম্পানির প্রতারণায় দেশের ই-কমার্স খাতেই আস্থা সংকটই এখনো কাটছে না। এবার আলোচনায় ডিজিটাল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস খাতে প্রতারণা। প্রতারক ওয়েলএক্স পের প্রধান কার্যালয় ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায়। এক লাখের বেশি সদস্য ও এক হাজারেরও বেশি বিজনেস পার্টনার আছে বলে এর দাবি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন আর বিকাশ, নগদ ও রকেটসহ এদেশের প্রায় সব বড় এমএফএস এর সঙ্গে চুক্তিও আছে বলে দাবি করছে ওয়েলএক্সপে। অনলাইন জুয়া এবং বিদেশি মুদ্রার লেনদেন নিয়ে ওয়েলএক্স পের বিজ্ঞাপন আর টাকা দিয়ে বিদেশি গণমাধ্যমে খবরও চমকপ্রদ।
বাংলাদেশি গ্রাহকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করতে তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা সোনিয়া বশির কবিরকে প্রতিষ্ঠাতা দাবি করছে ওয়েলএক্সপে। কিন্তু সোনিয়া বলছেন, ভুয়া দাবির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও ওয়েলএক্স পে নিয়ে গ্রাহকদের সতর্ক করছে।
সোনিয়া বশির কবির বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানটির নামও শুনিনি, আমি জানি না এরা কারা। আমি নিশ্চিত এই প্রতিষ্ঠার বাংলাদেশ ব্যাংক বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন অনুমতি পায়নি। আমি বুঝতে পারছি না, এতে আমার নাম কিভাবে আসলো। এজন্য থানায় জিডি হয়েছে, মন্ত্রণালয়কেও জানানো হয়েছে।
ওয়েলএক্স পে সম্পর্কে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান- বিকাশ এর চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল (অব:) শেখ মনিরুল ইসলাম বলেন, কোন কোন প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সেবা অনুমতি দেয়া হয়েছে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটেই থাকে। সেখানে এই প্রতিষ্ঠানটির নাম নেই।
এদিকে, ওয়েলএক্স পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইআইউ।












The Custom Facebook Feed plugin