সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় হামলা চালিয়ে ১৩ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
রোববার বিকেলে কোটা আন্দোলনের এক দফা কর্মসূচি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীরা থানায় ঢুকে পুলিশ সদস্যদের নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি বিজয় বসাক।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে এসে এনায়েতপুর থানায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে তারা থানায় আগুন দেয় এবং সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে হত্যা করে।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. খায়রুল আলম জানান, নিহত কনস্টেবলের নাম মো. এরশাদ আলী। হঠাৎ করে আন্দোলকারীরা ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানায় আক্রমণ করে। এসময় পুলিশ সদস্যরা ছাদে উঠে যায়। কিন্তু এরশাদ আর উঠতে পারেননি। এরশাদকে পিটিয়ে তাকে হত্যা করে তারা।
সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কোটা আন্দোলনকারীদের অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে রোববার সারা দিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে বহু হতাহতের খবর আসছে।
পুলিশ সদরদপ্তরের এক বার্তায় বলা হয়, সন্ত্রাসীরা ঢাকা মহানগর এলাকার যাত্রাবাড়ী ও খিলগাঁও থানা, টাঙ্গাইলের গোড়াই হাইওয়ে থানা, বগুড়ার সদর, দুপচাঁচিয়া ও শেরপুর থানা এবং নারুলী পুলিশ ফাঁড়ি, জয়পুরহাট সদর থানা, কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে থানা, রংপুরের গঙ্গাচড়া, মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ ও গংগাচড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও আশুগঞ্জ থানা, সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর থানা, হবিগঞ্জের মাধবপুর ফাঁড়ি, ময়মনসিংহ রেঞ্জ অফিস, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়, দিনাজপুর সদর থানা আক্রমণ করেছে। আহত পুলিশ সদস্য প্রায় তিন শতাধিক।