সিলেটে বন্যা কবলিত মানুষদের জন্য ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় মাথাপিছু ১০ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। যে পরিমাণ চাল দেওয়া হয়েছে তাতে গড়ে এক কেজি চাল জোটেনি বানভাসি মানুষের।
যদিও ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলছেন, ত্রাণের সঙ্কট নেই। এদিকে চলমান বন্যার মধ্যেই সামনের মাসে নতুন অঞ্চলে বন্যার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
এক মাসের বেশি তিন দফা বন্যায় নাজেহাল সিলেট-সুনামগঞ্জবাসী। সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, এক হাজার ১৭৯টি প্লাবিত গ্রামে পানিবন্দি মানুষ ছয় লাখের বেশি। আর সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সাত লাখ মানুষ। দুই জেলাতেই তীব্র খাদ্য সঙ্কটে বানভাসি মানুষ।
শনিবার ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, তিন বন্যায় সিলেটে জেলার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য মন্ত্রণালয় ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে (মাথাপিছু ১০ টাকা)। চাল এক হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। শুকনো খাবার ১৪ হাজার প্যাকেট। আর সুনামগঞ্জে দুই দফার বন্যায় নগদ টাকা দেওয়া হয়েছে ২৬ লাখ ( মাথাপিছু চার টাকার কম)। চাল এক হাজার ৩৩৪ মেট্রিক টন।
দুই জেলায় গড়ে এক কেজি ও চাল জোটেনি বানভাসি মানুষের ভাগ্যে। পানি বন্দি মানুষের জন্য এতো অল্প ত্রাণ যথেষ্ট কিনা জানতে চাইলে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ত্রাণের সঙ্কট নেই।
এ সংক্রান্ত তথ্য ভুল দাবি করে তিনি বলেন, যার যতোটুকু প্রয়োজন আমরা সেভাই ত্রাণ দিচ্ছি। একইসঙ্গে জেলা প্রশাসকরা যখন, যেভাবে চাচ্ছেন, আমরা সেভাবেই সাপোর্ট দিচ্ছি। সুতরাং এখানে কারো ত্রাণ না পাওয়ার কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না।
এদিকে প্রতিমন্ত্রী যখন বলছেন ত্রাণের সঙ্কট নেই, তখন হাহাকার হাওরের মানুষের ঘরে ঘরে।
বন্যাকবলিত কয়েজন বলেন, এই বন্যায় আমরা কোনো সহযোগিতা পায়নি। আমাদের চেয়ারম্যান, মেম্বাররা কোনো সহযোগিতা করে নাই।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সহকারী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান বলেন, ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির আভাস রয়েছে। এতে বন্যার কিছুটা অবনতি হবে। বাড়বে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ঘাঘট এই চার নদীর পানি। পাশপাশি কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা অবনতির দিকে যাবে।
চলমান বন্যার প্রভাব শেষ হতে না হতেই আবারও বন্যার শঙ্কার কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।