প্রতিবেশী দেশগুলোতে তৈরি হওয়া অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। যে কারণে বান্দরবানে হঠাৎ করেই কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
কূটনীতিকরা বলছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ১৯৯৭ সালের শান্তি চুক্তির পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নই পারে এই অঞ্চলের মানুষের আস্থা ফেরাতে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্বরত সামরিক গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ী, এখন ভারতের মিজোরামে থাকছেন কুকি-চিন প্রধান নাথান বম। তাই কূটনীতিকরা বলছেন, বান্দরবানের সাম্প্রতিক ঘটনাকে শুধু ইন্টারনাল ফ্যাক্টর বা অভ্যন্তরীণ ইস্যু ধরে বিবেচনা করা যাবে না। মিয়ানমার সরকারের কাছে আরাকান আর্মির যে দাবি করে এর সঙ্গে কেএনএফের দাবির মিল আছে।
তারা আরও বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে আরাকান আর্মির সফল্য ও মিয়ানমার সীমান্তে অস্ত্রের সহজলভ্যতা কেএনএফকে উৎসাহিত করতে পারে। ভারত এবং মিয়ানমার কিভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে তা দেখে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, মিয়ানমারে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম সীমান্তের কাছাকাছি যুদ্ধ চলছে। সেটা ওই দেশের বিভিন্ন প্রদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। যুদ্ধ আসলে এমন যে, সীমান্তের এপার-ওপার মানে না।
৯৭ সাথে আমরা যে রাজনৈতিক সমাধান খুঁজে পেয়েছিলাম সেখানে আমার মনে হয়, অনেকগুলো কাজ করা বাকি রয়ে গেছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক হুমায়ুন কবির বলছেন, কুকি-চিনের কাছে বিভিন্নভাবে অস্ত্র আসে। আমাদের এ অবস্থায় উচিত হবে, জনগণের সাথে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলা। মানুষের অনাস্থা নিয়ে কিছুই করা যাবে না।
কূটনীতিকরা মনে করেন, ১৯৯৭ সালে যে শান্তি চুক্তি হয়েছে তার পূর্ণ বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগনের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ অস্থান তৈরি করতে হবে সবার আগে।
বান্দরবানের সাথে ভারত এবং মিয়ানমার সীমান্ত রয়েছে। যেখানে কুকি চিনের সরব উপস্থিতি রয়েছে।