সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে খাসির বদলে অন্য প্রাণীর মাংস পরিবেশনের যে অভিযোগ করা হয়েছিল, সে বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের।
অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সোমবার সুলতান’স ডাইনের তদন্ত সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিউজ্জামান লিখিত বক্তব্যে বলেন, রেস্তোরাঁটি সরেজমিনে তদন্ত এবং অভিযুক্তের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য পর্যালোচনা করে জানা গেছে, সুলতান’স ডাইন ‘মা বাবার দোয়া গোস্ত বিতান, কাপ্তান বাজার’ নামক ভেন্ডরের মাধ্যমে খাসির গোস্ত সংগ্রহ করে থাকে। কাপ্তান বাজারে যখন খাসি জবাই হয় তখন অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মাঝে মধ্যে উপস্থিত থাকেন। না থাকলে ভেন্ডর নিজ দায়িত্বে গোস্ত অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার গত ৯ মার্চ মৌখিকভাবে ১৫০ কেজি খাসির মাংস সংগ্রহের কথা জানান। কিন্তু ভেন্ডর ১২৫ কেজি সরবরাহের কথা জানান। এ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। এ ছাড়া সন্দেহযুক্ত চিকন হাড়ের ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা সাধারণত ৭ থেকে ৯ কেজি ওজনের খাসির মাংস ব্যাবহার করেন। তাই আকারে ছোট হওয়ায় এসব খাসির হাড়ও চিকন হয়।
এদিকে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে যে মোবাইল নম্বর (০১৭২৩৩০৯৯০২) থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল, সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এমতাবস্থায় সন্দেহাতীতভাবে আনীত অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান সুলতান’স ডাইনকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে।