দীর্ঘদিন পর সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে রান ঝরলে কিউইউদের বিপক্ষে লড়াকু স্কোর দাঁড় করায় বাংলাদেশ। কিন্তু ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে যে ২৯১ রানও বড় কিছু নয়, তা জয় করে দেখালো নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে সাত উইকেট ও ২২ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় টম ল্যাথামের দল।
কিউই ব্যাটারদের মধ্যে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন ওপেনার উইলি ইয়ং (৮৯) ও ওয়ানডাউনে নামা হেনরি নিকোলস (৯৫)। এছাড়া আরেক ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র করে ৪৫। শেষে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন টম ল্যাথম (৩৪) ও ব্লুন্ডেল (২৪)।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও একটি নেন শরিফুল ইসলাম।
এর আগে সৌমের ইনিংসে ভর করে ২৯১ রান সংগ্রহ করে শান্তর দল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে রানের চাকা দ্রুত ঘোরাতে থাকে ওপেনার ইয়াং ও রাচিন।
প্রথম পাওয়ার প্লের পর রাচিন বিদায় নিয়ে মাঠে আসেন নিকোলস। মূলত ইয়ং-নিকোলস জুটিই দ্বিতীয় ওয়ানডেসহ সিরিজ জয় নিশ্চিত করেন।
তবে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন বাংলাদেশের সৌম্য সরকার।
সৌম্যের দিনে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৯১
নিউজিল্যান্ডের ঘরের মাটিতে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে পাঁচ বছর পর হেসেছে সৌম সরকারের ব্যাট। প্রথম ম্যাচে কোনো রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফেরত যাওয়া সৌম্য তুলে নিয়েছেন বহু প্রত্যাশিত সেঞ্চুরি। আর শতকের ঘর ছুঁতে তার খরচ হয়েছে ১১৫ বল। ২০১৮ সালের পর ওয়ানডেতে এটাই তার প্রথম তিন অঙ্ক ছোঁয়া ইনিংস। আর ইনিংস শেষ বাংলাদেশের সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ২৯১, আর সৌম্যের ১৬৯। যদি ৫০ ওভারের এক বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় শান্তর দল।
এর আগে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। পঞ্চম ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন অ্যাডাম মিলনে। তার বলে লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দুই রান করা বিজয়, দলের রান তখন ১১।
অষ্টম ওভারে শান্তকে ফেরান জ্যাকব ডাফি। ছয় রান করে শান্ত ফিরেন নিকোলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর জ্যাকব ডাফির অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইল ইয়ংয়ের হাতে ক্যাচ দেন লিটন। ফেরার আগে মাত্র ছয় রান করে যান তিনি। দুর্ভাগ্যের শিকার তাওহিদ হৃদয়ও। ব্যক্তিগত ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
চার উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপদে তখন সৌম্যের সঙ্গে হাল ধরেন মুশফিক। জুটির পঞ্চাশ গড়ে দুজনেই এগিয়ে যাচ্ছেলিন সেঞ্চুরি জুটি গড়তে। কিন্তু দলীয় ১৭১ রানে মুশফিকের আউটে ভেঙে যায় সৌম্যের সঙ্গে তার ৯১ রানের জুটি।
১৬৯ রানে সৌম্য বিদায় নিলে শেষদিকে রান বাড়াতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। শেষ ওভারে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ থেমেছে ২৯১ রানে।
সৌম্যর সামনে সুযোগ ছিল ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক হওয়ার। তবে লিটনে না টপকাতে পারলেও ১৬৯ রান করা সৌম্য এখন ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ভাঙা হলো না ওয়ানডেতে লিটন দাসের ১৭৬ রানের রেকর্ড।