বুধবার , ১৭ আগস্ট ২০২২ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

হঠাৎ কেন ইউক্রেন যাচ্ছেন? এরদোগান-গুতেরেস

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ১৭, ২০২২ ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ

দ্ধের দামামার মধ্যে ইউক্রেন যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। তাদের এই সফর নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। কারণ রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধে দুতিয়ালি করছেন এরদোগান ও গুতেরেস।

জানা গেছে, যুদ্ধ পরিস্থিতি নিযে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করবেন এই দুই নেতা। মঙ্গলবারর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাদের বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। খবর আলজাজিরার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন— ‘প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির আমন্ত্রণে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান এবং ইউক্রেনের নেতার সঙ্গে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার লভিভে থাকবেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

ডুজারিক আরও বলেন, বৈঠকের পর এই তিনজন (গুতেরেস, এরদোগান ও জেলেনস্কি) পর দিন শুক্রবার কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী ওডেসার বন্দর পরিদর্শন করবেন। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত একটি চুক্তির অধীনে সম্প্রতি এই বন্দর দিয়ে শস্য রপ্তানি আবারও শুরু হয়েছে।

মূলত গত ২২ জুলাই স্বাক্ষরিত ওই চুক্তির অধীনে ইউক্রেনের বিভিন্ন গুদামে আটকে থাকা আড়াই কোটি টন গম ও ভুট্টার আন্তর্জাতিক বাজারে পৌঁছানোর পথ খুলে যায়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ইউক্রেনে আটকে থাকা শস্য বহনকারী বিভিন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ যেন নিরাপদে কৃষ্ণসাগরে চলাচল করতে পারে, সে জন্য তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় একটি যৌথ সমন্বয় কেন্দ্র খোলা হবে। সেই কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে জাতিসংঘ, রাশিয়া ও তুরস্ক।

ডুজারিক বলেন, গুতেরেস পশ্চিম ইউক্রেনের লভিভে জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করবেন এবং জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করবেন। একই সঙ্গে সেখানে তিনি ‘সংঘাতের রাজনৈতিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তা’ নিয়েও আলোচনা করবেন।

ইউক্রেন ও রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনের পারমাণবিক কেন্দ্রের কাছে হামলার জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছে। ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আক্রমণের পর পরই দখল করেছিল রাশিয়ান বাহিনী। তবে এই স্থাপনাটি এখনো ইউক্রেনীয় প্রযুক্তিবিদদের মাধ্যমেই পরিচালিত হচ্ছে।

জাতিসংঘ বলেছে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) পরিদর্শকদের কিয়েভ থেকে জাপোরিঝিয়া সফরের সুবিধা করে দিতে তারা সাহায্য করতে পারে। তবে রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনের রাজধানীর মধ্য দিয়ে যাওয়া যে কারও জন্য খুব বিপজ্জনক।

ইউক্রেন সফরের পর আগামী শনিবার গুতেরেস ইস্তানবুলের যৌথ সমন্বয়কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। এই সমন্বয়কেন্দ্রটি রাশিয়ান, ইউক্রেনীয়, তুর্কি ও জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এবং তারা ইউক্রেনের শস্য ও সারের রপ্তানির তদারকি করছে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক