হত্যাকারীরা কখনও গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে না বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াতের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, এরা গণতন্ত্রের কথা বলে কোন মুখে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) নাকি গণতন্ত্র উদ্ধারের আন্দোলন করবে, গণতন্ত্র বানান করতে পারে? যারা জ্বালাও-পোড়াও করে, যারা রেললাইন উপড়ে ফেলে তারা পরাজিত শক্তির দোসর। আগামী নির্বাচনে পরাজিত শক্তিকে না বলুন। পরাজিত শক্তির হাতে এই দেশকে আর কখনো তুলে দেয়া হবে না আমরা বিজয়ী জাতি মাথা উঁচু করে চলবো শহীদদের কাছে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে ভোট চুরির অপরাধে বিদায় নিতে হয়েছিলো। এক না, দুই বার বিদায় নিতে হয়েছিলো। ২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতা এসেছিলো। আমি বলেছিলাম, গ্যাস পাবে না। আল্লাহতায়ালাও যখন সম্পদ দেয়, মানুষ বুঝে দেয়। সেই গ্যাস দিতে পারেনি। কূপ খনন করে দেখে গ্যাস নাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি নির্বাচনের আগেই চক্রান্ত শুরু হয়। এবারও শুরু হয়েছে।
গত ১৫বছর ধরে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ প্রধান বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার, ভোটার হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। এরশাদও রাজাকারদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলো। যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী করেছিলো খালেদা জিয়া।