ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে।
জনগণের ইচ্ছেতেই বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন এসেছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই, এমনটাই দাবি হোয়াইট হাউসের।
হোয়াইট হাউসের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্থানীয় সময় সোমবার (১২ আগস্ট) এ কথা জানিয়েছেন প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জ্যঁ পিয়েরে।
এর আগে একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ক্ষমতা হারানোর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছেন। সেন্ট মার্টিন দ্বীপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেয়ায় তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।
তবে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ অবশ্য গত রোববার(১১ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন যেখানে তিনি লিখেছিলেন, সম্প্রতি একটি পত্রিকায় আমার মাকে উদ্ধৃত করে তার পদত্যাগের যে বিবৃতি ছাপা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি তার সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি, তিনি ঢাকা ছাড়ার আগে বা পরে কোনো বিবৃতি দেননি।
এমনকি বাংলাদেশে মার্কিন হস্তক্ষেপের অভিযোগ ‘কেবলই মিথ্যা’ বলেও আখ্যায়িত করেছে দেশটি। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বাংলাদেশে সরকার উৎখাতে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমাদের আদৌ কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিল বলে যদি কোনো প্রতিবেদনে বলা হয় বা গুজব ছড়ানো হয় তবে তা নিছক মিথ্যা।’
হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ অবশ্য গত রোববার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, তিনি (হাসিনা) কখনোই এ ধরনের কোনো বক্তব্য দেননি।