১৬ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হলেও পুরোপুরি নেভেনি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকায় এস আলম সুগার মিলের গুদামের আগুন। মঙ্গলবার সকালে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের দশটি ইউনিট এখনও আগুন নেভানোর কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক জানান, সোমবার বিকেল চারটার দিকে কারখানার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় রাত সাড়ে দশটার পর আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে আগুন পুরোপুরি নেভানো যায়নি।
এদিকে রাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৩ ইউনিটের সঙ্গে আগুন নেভাতে যোগ দেয় বাংলাদেশ বিমান, নৌ ও সেনাবাহিনীর দল।
আগুনের ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে।
কারখানা সূত্র জানায়, কর্ণফুলী ইছানগর এলাকায় এস আলম সুগার রিফাইনারি মিলে পিছনের অংশে প্রথমে আগুন লাগে। ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে অপরিশোধিত চিনি রাখার গুদামে।
মিলটিতে বিভিন্ন ইউনিটে তিন শিফটে শ্রমিকরা কাজ করলেও, আগুন লাগা গুদামটিতে অধিকাংশ কাজই যান্ত্রিক উপায়ে সম্পন্ন হতো বলে কম শ্রমিক কাজ করতো।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, অপরিশোধিত চিনি বাইরে থেকে গুদামে নিয়ে যাওয়ায় বেল্টের অংশে প্রথমে তারা আগুন দেখতে পান। পরে তা পুরো গুদামের জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
এস আলম গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফয়সালের দাবি, সেখানে এক লাখ মেট্রিক টনের মতো অপরিশোধিত চিনি ছিলো। এর বাইরে আরও পরিশোধিত চিনি ছিলো। এগুলো রমজানের জন্য ব্রাজিল থেকে আমদানি করা হয়েছিলো। এখানে পরিশোধিত হয়ে মার্কেটে যাওয়ার কথা ছিল। সব মিলিয়ে কী পরিমাণ চিনি ছিলো, তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। কারণ, চার লাখ মেট্রিক টন ধারণক্ষমতার ইউনিট এটি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আমরা। তবে বিষয়টি আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে।