১৯ ঘণ্টা লাইনে থাকার পর টিকিট পেলাম। ইফতারি-সেহরি দুটোই লাইনে দাঁড়িয়ে করেছি। কখনো দাঁড়িয়ে কখনো বসে এভাবেই কেটেছে সময়।’
কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিট কেনার পর এমনটাই বললেন মতিউর রহমান নামের এক ব্যক্তি। তবে এই টিকিট পেতে তাকে কষ্ট ও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। যদিও হাতে টিকিট পাওয়ার পর উচ্ছ্বসিত তিনি।
শুধু মতিউর রহমান নন, তার মতো হাজার হাজার মানুষ রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের টিকিট পেতে অপেক্ষা করছেন।
রোববার (২৪ এপ্রিল) সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ভোর থেকেই কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছেন টিকিটপ্রত্যাশীরা। আবার অনেকে রাত থেকেই দাঁড়িয়েছেন।
মতিউর রহমান জানান, গত দুই বছর করোনার কারণে গ্রামের বাড়ি নীলফামারী গিয়ে ঈদ করতে পারেননি। তাই এবার শনিবার বিকেল ৩টায় এসে ট্রেনের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ান তিনি। প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর পরের দিন রোববার সকাল পৌনে ১০টায় কাউন্টার থেকে হাতে পান কাঙ্ক্ষিত টিকিট।
টিকিট হাতে নিয়ে তিনি বলেন, এত কষ্টের পর টিকিট হাতে পেয়ে এখন ভালো লাগছে।
কমলাপুর রেলস্টেশনে কথা হয় মো. মাহির নামে আরেক টিকিটপ্রত্যাশীর সঙ্গে। তিনি খুলনা যাওয়ার টিকিট নিতে এসেছেন।
ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে মাহির বলেন, টিকিট পাওয়াটাই এখন কঠিন হয়ে গেছে। গতকাল রাত ৩টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। এখনো অনেক মানুষ সামনে। পরিবার নিয়ে গ্রামে যাওয়াই কঠিন হয়ে যায় ঈদে।
এর আগে শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তখন কমলাপুর রেলস্টেশনে উপচে পড়া ভিড় ছিল। দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকার পর এদিন কারো ভাগ্যে টিকিট জোটে। আবার যারা টিকিট পাননি তারা রোববার (২৪ এপ্রিল) এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন।
শনিবার দেওয়া হয় ২৭ এপ্রিলের টিকিট, আর ২৮ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হবে ২৪ এপ্রিল।
এছাড়া ২৫ এপ্রিল দেওয়া হবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট, ২৬ এপ্রিল দেওয়া হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট এবং ১ মে’র টিকিট দেওয়া হবে ২৭ এপ্রিল।