নিজস্ব প্রতিবেদক: অনুমতি ছাড়া বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তর নিয়ে এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম (এস আলম) ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান সম্পর্কিত বিষয়বস্তুর ওপর সব পক্ষকে আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এস আলম দম্পতির করা আবেদনের (লিভ টু আপিল) শুনানি নিয়ে বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
কিন্তু তথ্য হচ্ছে প্রায় বিশ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে বিচারপতি এনায়েতুর রহিম এস আলমের পক্ষে এই আদেশ ঘোষনা করেন। আর তার হয়ে কাজ করেছে বাংলাদেশের বর্তমান রাস্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপপু।
কারন হিসেবে জানাযায় বর্তমান রাস্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তিনি নিজে একসময় এস আলমের প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তাছাড়া দূর্ণীতি দমন কমিশনে এস আলমের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ দায়ের হতো সাহাবুদ্দিন চুপপু দুদকের কমিশনার থাকা অবস্থায় সব দেখভাল করতো এই সাহাবুদ্দিন।
বাংলাদেশের রাস্ট্রপতির সাথে এস আলম গ্রূপের একটা শখ্যতা রয়েছে বলে জানাযায়। তথ্যসূত্রে জানাযায় দুদকের কমিশনার থাকা অবস্থায় এস আলম গ্রূপকে সব ধরনের সহযোগীতা করতো সাহাবুদ্দিন চুপপু।
এমনও জানাযায় সাহাবুদ্দিনকে রাস্ট্রপতি বানানোর ক্ষেত্রে এস আলম অথ্যাৎ সাইফুল আলম মাসুদের সহযোগীতা রয়েছে। আর বাংলাদেশের বিচারপতিদের নিয়ন্ত্রন সংস্থা একমাত্র রাস্ট্রপতি ভবন। তাই বিচারপতি এনায়েতুর রহিমের মাধ্যম বিশ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে এস আলমের পক্ষে এই আদেশ আনাহয়। বিচারপতি এনায়েতুর রহিম বেগম খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়ে সরকারের রোষানলে পড়েন। যার কারনে রাস্ট্রপতির এস আলমকে দায়মুক্তির এই প্রস্তাব ফেলতে পারেনী।
এনায়েতুর রহিম প্রত্যাশা করেন সরকার এবং রাস্ট্রপতির প্রিয়ভাজন হয়ে প্রধান বিচারপতির পদটির। তাই তিনি তার আদেশে আদালত বলেন, সব পক্ষকে বিষয়বস্তু নিয়ে আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলা হলো। ৮ জানুয়ারি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হলো। সেদিন কার্যতালিকার ১০ নম্বর ক্রমিকের পরে বিষয়টি থাকবে।
বাংলাদেশের ১২তম সংসদ নির্বাচনের পরেই ৮ জানুয়ারী তারিখ দেয়া হয়েছে সেটা উদ্দেশ্যপ্রনোদিত ভাবেই বলে মনে করেন সবাই। কারন এই নির্বাচনে এস আলম গ্রূপের কাছ থেকে নির্বাচনী খরচ বাবদ বর্তমান সরকারী দল বিণিয়ন ডলার চাদা দাবী করবে। আর তাই এস আলমকে আরেকটি সুযোগ দেয়ার জন্যই আট জানুয়ারী পরবর্তী দিন ধার্য করে আদালত। যেটাকে সবাই নির্বাচনের পরের তারিখ বলে মনে করেন। যদি আওয়ামীলীগ আবারও ক্ষমতায় আসে তাহলে এস আলমের আর কোনো ঝামেলায় পড়তে হবেনা বলে মনে করে সবাই।
এই এস আলম নির্বাচনের সময় সরকারকে সব ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে এই নিশ্চয়তা দেয়া হয় সরকারকে। সেটিরও মধ্যস্ততা করেন রাস্ট্রপতি। এস আলমকে দিয়ে সরকার নানাভাবে খেলতে চায়। কারন এস আলম সরকারের পক্ষে কাজ করে বিলিয়ন ডলারের মালিক হলেও বিএনপির সাথে এস আলমের শখ্যতা রয়েছে বলে জানাযায়। সেই কারনে এস আলমকে সরকার বিশ্বাস করতে না পারার কারনে আদালতের মাধ্যমে এস আলমকে নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করছে।
আর এস আলম এবং তার গ্রূপকে যেনো যুক্তরাস্ট্র কোনো ধরনের সেংশন বা নিষেধাজ্ঞা দিতে না পারে সে কারনে কয়েক মিলিয়ন ডলারেরও চুক্তি হয়েছে বলে জানাযায়। সেই বিষয়গুলিও বর্তমান সরকারের যে লবিস্ট ফার্ম রয়েছে তারা এস আলমের হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই মর্মে এস আলমের পক্ষে ওয়াশিংটনে একটি লবিষ্ট ফার্ম কাজ করার কথা। সেখানেও প্রায় একশ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করা হয়েছে বলে জানাযায়। কারন বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের হয়ে কাজ করবে এস আলম। কারন এস আলমের কাছে রয়েছে কয়েক বিলিয়ন অবৈধ ডলার। বর্তমান আওয়ামী সরকার এবং বিচার বিভাগ এবং দুদক এস আলমের কাছে দায়বদ্ধ।
আর সেই সুযোগে এস আলমের পরিবারের সবাই ইচ্ছা মাফিক টাকা বিদেশে পাচার করতে পারবে। অথচ এর আগেই অনুমতি ছাড়া বিদেশে বিনিয়োগ বা অর্থ স্থানান্তর নিয়ে এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) প্রতি এ নির্দেশ দেয়।
হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে এস আলম ও তাঁর স্ত্রী ২১ আগস্ট আপিল বিভাগে আবেদন করে, যার ওপর চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসি, আহসানুল করিম ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। দুদকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে অংশ নেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম শুধুমাত্র নিয়মমাফিক আদালতে এস আলমের বিরুদ্ধে অবস্থান নে। তবে জানাযায় দুদকের এই আইনজীবীও এস আলমের পোষ্য। কারন ভারতে গ্রেফতার পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের কঠিন অবস্থান থাকলেও জানাযায় পিকে হালদারের দূর্ণীতির টাকা রয়েছে এস আলমের ছোটভাই আবদুস সামাদ লাবুর কাছে। আর লাবুকে বাচাতেই খুরশীদ আলম খান পিকে হালদারের বিপক্ষে কঠোর অবস্থান নেন।