অবসরে যাওয়া এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা ছয় মাসের মধ্যে দিতে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ছয় শতাংশের বদলে ১০ শতাংশ হারে বেতন কর্তনের বিপরীতে আনুপাতিক হারে সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে বলেও জানিয়েছে হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জিনাত হকের বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর ফলে এমপিওভুক্ত পাঁচ লক্ষাধিক বেসরকারি শিক্ষক অবসরকালীন সুবিধা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের টাকা দিতে হবে।
আদালতের বরাত দিয়ে রিটকারীদের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, অবসরের পর কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা বোর্ডের টাকা তুলতে শিক্ষকদের বছরের পর বছর ঘুরতে হয়, যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। এই আদেশ পরিপালন করা না হলে আদালত অবমাননার দায়ে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দেয় আদালত।
১৯৯৯ সালের প্রবিধান অনুযায়ী এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের কল্যাণ ট্রাস্ট ও অবসর সুবিধা প্রদানের বিপরীতে বেতনের ছয় শতাংশ কর্তন করা হতো।
কিন্তু ২০১৭ সালের সংশোধনীতে তা বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশ করা হলেও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়নি। পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষকরা বাড়তি কর্তনের বিপরীতে সুবিধা ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে টাকা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদন করলে তা নিষ্পত্তি করে হাইকোর্ট এ রায় দেয়।
এর আগে দেশের এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ লক্ষাধিক শিক্ষক ও কর্মচারীর বেতনের ছয় শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ কর্তনের বিপরীতে বাড়তি আর্থিক সুবিধা কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে, শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসরের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা কেন এক বছর অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়।
রিটকারীদের সম্পূরক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।