শুক্রবার , ১১ আগস্ট ২০২৩ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

৬ ব্যাংকের ৫০ হাজার কোটি টাকা লোপাট

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ১১, ২০২৩ ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ব্যাংকখেকোদের ধরতে কারও যেন সদিচ্ছা নেই। এ তালিকায় ব্যাংকের মালিক-পরিচালক থেকে শুরু করে আছেন প্রভাবশালী অনেকেই। হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন তারা। লোপাট করা অর্থের বড় অংশ পাচার করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে।

বেসিক, সোনালী ও পদ্মা ব্যাংকের অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের পৃথক অভিযোগ অনুসন্ধান করে দায়সারা মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কিন্তু দায়ীদের ধরতে কিংবা বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে পারেনি সংস্থাটি। অর্থ ফেরাতে কার্যকর কোনো উদ্যোগও নেই।

তবে সরকারের ‘সবুজ সংকেত’ পেলে দুদক যে বিদেশ থেকে অর্থ ফেরত আনতে পারে, এর নজির আছে। দুদক কর্মকর্তারাই বলেছেন, তিনটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ‘বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো’ স্টাইলে মামলা করা হয়েছে। তবে উপর মহল চাইলে দুর্নীতিবাজ যেই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কোনো ঘটনাই না।

জানা যায়, বেশ কয়েকটি ব্যাংকের বিরুদ্ধে ঋণ কেলেঙ্কারি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ থাকলেও তা অনুসন্ধানে আগ্রহ দেখায়নি কমিশন। সূত্রের দাবি, অন্তত ছয় ব্যাংক থেকে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্যক্তিপর্যায় থেকে এসব ব্যাংকের অর্থ লোপাটের অভিযোগ দুদকে এলেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কমিশন তা আমলে নেয়নি। আবার এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল ও পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমামের অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হলেও রহস্যজনক কারণে তা থেমে গেছে ।

অর্থনীতিবিদ ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক আহসান এইচ মনসুর  বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জেনেও দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী হয় না। জেনে-শুনে ব্যবস্থা না নিলে বোঝা যায় তারা দোষীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। দোষীদের শাস্তির মুখোমুখি করা যাচ্ছে না বলেই ব্যাংক খাতের দুর্নীতি বন্ধ হচ্ছে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি তদন্ত বা দোষীদের গ্রেফতার করতে পারে না। তারা দুদক কিংবা সিআইডিকে বলবে। সেটা না বলাটাই হতাশাজনক।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যাংকিং খাতের ঘুস-দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের ঘটনা অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা করে থাকে দেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান দুদক। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছার অভাব ও প্রভাবশালীদের চাপে এ কাজে কমিশন খুব বেশি আগ্রহী নয়।

অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাটের তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার-প্রকাশিত হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকও বিভিন্ন সময় তথ্য-উপাত্ত পাঠিয়েছে দুদকের কাছে।

আবার ব্যক্তিপর্যায় থেকে একাধিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দুদকে জমা করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অর্থ লোপাটের সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ থাকার পরও কমিশন সেগুলো অনুসন্ধানে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। সমালোচনা এড়াতে কিছু অভিযোগ অনুসন্ধানের পর দায়সারাভাবে মামলা করা হয়েছে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত