বৃহস্পতিবার , ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

শেখ হাসিনার ভারত সফরে তাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে খুব উগড়ে দিলেন মমতা ।

প্রতিবেদক
Newsdesk
সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২ ১:০৬ অপরাহ্ণ

 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষোভ উগরে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মমতা বলেন “হাসিনা যে নিজে আমার সাথে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। অথচ আমি এই প্রথম দেখলাম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এসেছেন বাংলা বাদ।”

আজকে বৃহস্পতিবার বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বিশেষ অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন মমতা।

 

তাকে আমন্ত্রণ না জানানো প্রসঙ্গে মমতা বলেন “আমি দেশের পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে বলতে চাই না। হাসিনা জি এসছেন। ওদের সবার সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুবই ভালো। সেটা আজকে নয়, চিরকাল। পুজোর সময় আমি ওনাকে চিঠি দিই। উনি আমাকে শাড়ি পাঠায়। আমিও পাঠাই ঈদের সময়। উনি আম পাঠায়, ইলিশ মাছ পাঠায়। আমরাও যতটা পারি করি। উনি নিজেই ইচ্ছে প্রকাশ করলেন। আমি এই প্রথম দেখলাম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এসেছেন বাংলা বাদ। আমি কৃতজ্ঞ যে উনি দেখা করতে চেয়েছিলেন। আমি সংবাদমাধ্যমে দেখেছি। তবুও এটা দেশের ব্যাপার আমি বলছি না। তবুও এত রাগটা কিসের।”

এরপর তিনি হিন্দিতে বলেন “এত রাগ কিসের? বড় লোকেদের এত ভয়ের কি আছে? শিকাগো থেকে আমন্ত্রণ এসেছিল কিন্তু আটকে দিয়েছে, আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি। দিল্লির স্টিফেন্স কলেজ থেকে আমন্ত্রণ এসেছিল, আটকে দিয়েছে, যেতে দেওয়া হয়নি। চীন থেকে আমন্ত্রণ এসেছিল, সেখানেও আটকে দেওয়া হয়েছে, যেতে দেওয়া হয়নি।

তার অভিমত “বাংলায় ঘুরলেই সারা বিশ্ব ভ্রমণ হয়ে যায়। বাইরে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।”

এর আগে এদিন সকালে কলকাতার ধর্মতলায় ভারতের অন্যতম স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরেও তাকে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটান মমতা। তিনি বলেন “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তো এ’কয় দিন ছিল কিন্তু আমাদেরকে তো কাউকে বলেনি। আজকে পর্যন্ত তো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকার কথা।”

উল্লেখ্য চার দিনের ভারত সফরে গত সোমবার দিল্লিতে এসে পৌঁছন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। হাসিনার এই সফরে একাধিক চুক্তি ও সমঝোতা স্বাক্ষর হয়েছে।

যদিও হাসিনার ভারত সফরের প্রথম দিনই বাংলাদেশের মানুষ, সে দেশের শিক্ষক সমাজকে শুভেচ্ছা, প্রণাম জানিয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন কলকাতায় একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় মমতা বলেন “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ ভারতে এসেছেন। সম্ভবত ৫ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত উনি আছেন এবং আমরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে আমাদের শুভেচ্ছা, আমাদের অভিনন্দন এবং আমাদের প্রণাম, সালাম জানাই।”

মাস খানেক আগেই মাসখানেক আগে শেখ হাসিনা নিজেই মমতা ব্যানার্জিকে চিঠি দিয়ে আসন্ন দিল্লি সফরে তার সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। হাসিনা লেখেন “২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমার নির্ধারিত নয়াদিল্লি সফরকালে আপনার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা রাখি।”

এর আগে গত ২০১৭ সালেও দিল্লি সফরে এসে মমতার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছিলেন হাসিনা। দুই নেত্রীর একান্ত বৈঠকে উঠে এসেছিল তিস্তা পানি বণ্টন সহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আসলে মমতা এবং শেখ হাসিনার বন্ধুত্ব সর্বজনবিদিত, দুই বোনের সম্পর্ক। অতীতে মমতার জন্য পুজোতে শাড়ি, মৌসুমী ফল আম, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য ইলিশও পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দুই বাংলার এই দুই নেত্রীর মধ্যে রয়েছে স্নেহ-সম্মান-ভালোবাসার স্বতঃস্ফূর্ত বন্ধন। সেই সম্পর্কের ভিত্তিতে দুই বাংলার কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনো অটুট রয়েছে। আর সে কারণেই ভারত সফরে ‘বোন’ সমতুল্য মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী শেখ হাসিনা।

এর আগে গত ২০১৭ সালেও দিল্লি সফরে এসে মমতার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেছিলেন হাসিনা। দুই নেত্রীর একান্ত বৈঠকে উঠে এসেছিল তিস্তা পানি বণ্টন সহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক বিষয়। শেষবার ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সেবার ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI) সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর আমন্ত্রণে ভারত বাংলাদশের মধ্যে ইডেনে অনুষ্ঠিত গোলাপি টেস্ট দেখতে কলকাতায় হাজির ছিলেন হাসিনা। সেবারও কলকাতার তাজ বেঙ্গল হোটেলে মমতার সাথে একান্তে কথা হয়েছিল হাসিনার।

আসলে মমতা এবং শেখ হাসিনার বন্ধুত্ব সর্বজনবিদিত, দুই বোনের সম্পর্ক। অতীতে মমতার জন্য পুজোতে শাড়ি, মৌসুমী ফল আম, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য ইলিশও পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। দুই বাংলার এই দুই নেত্রীর মধ্যে রয়েছে স্নেহ-সম্মান-ভালোবাসার স্বতঃস্ফূর্ত বন্ধন। সেই সম্পর্কের ভিত্তিতে দুই বাংলার কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনো অটুট রয়েছে। আর সে কারণেই ভারত সফরে ‘বোন’ সমতুল্য মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী ছিলেন শেখ হাসিনা।

আর এই সব বিষয়ে মাথা রেখেই হাসিনার দিল্লি সফরে মমতা ব্যানার্জিকে আমন্ত্রণ করার জল্পনা ছিল। মমতার পাশাপাশি হাসিনার এই ভারত সফরে সীমান্তবর্তী রাজ্যের অন্য মুখ্যমন্ত্রীদেরও আমন্ত্রণের জল্পনা ছিল, যদিও তা হয়নি।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক