নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ সকাল থেকে টেলিভিশন গনমাধ্যম সংস্থা ব্রডকাস্ট জার্নালিষ্ট সেন্টার বিজেসির সম্মেলন। সাধারনত ব্রডকাষ্ট টেলিভিশনে কর্মরত কর্মীদের জন্য এই সংস্থাটি গঠিত হয়। কিন্তু এই সংস্থার সদস্য সচিব একাত্তর টিলিভিশনের হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদের নারী কেলেংকারীর কারনে সংস্থাটির ভাবমূর্তী এখন হুমকির মুখে। কারন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভির সাংবাদিক ও উপস্থাপিকা ফারজানা রূপার স্বামী শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ভ্রুণ হত্যা মামলা অভিযুক্ত আসামী। আর ব্রডকাষ্ট জার্নালিঝমে কাজ করে শতশত নারী কর্মী। অথচ শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে দীপ্ত টিভির উপস্থাপক ডা. তৃণা ইসলাম ধর্ষন এবং ভ্রুন হত্যার মামলা করে গেলো বছরের নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে। কিন্তু প্রায় সাত মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সেই মামলার কোনো কিনারা করেনী আইনশংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
মামলার বাদী তৃণা ইসলাম গেলো বছর গুলশান থানায় ৯ এর ১ ধারায় বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নম্বর ০৬, ৪ নভেম্বর, ২০২১। তবে শাকিল আহমেদকে গ্রেফতারও করা হয়নি।
সাংবাদিক শাকিল আহমেদ বিয়ের আশ্বাসে শকিল আহমেদ সম্পর্ক করেন। সম্পর্কের এক পর্যায়ে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে শাকিলের কথায় তিনি ভ্রূণ নষ্ট করেন। কিন্তু এরপর শাকিল আর তাকে বিয়ে করেননি।
এর আগে শাকিল আহমেদের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ এনে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী দাবি করেছিলেন, চাকরির জন্য প্রায় সাত-আট মাস আগে শাকিলের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্কের শুরু। পরে অন্তঃসত্ত্বা ও ভ্রূণ নষ্টের পরও তাকে বিয়ে না করে বরং চিকিৎসক হিসাবে যেখানে তিনি চাকরি করতেন, সেখান থেকে প্রভাব খাটিয়ে তাকে ছাঁটাই করান শাকিল।
গুলশান থানায় করা ওই মামলায় শাকিলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করলেও এই সাত মাসে তার কোনো কিনারা হয়নি। উপরন্ত ধর্ষন মামলার আসাম শাকিল আহমেদ তার প্রথম স্ত্রী ফারজানা রুপারে প্রভাব খাটিয়ে উচ্চ আদালতসহ সব আদালত থেকেই জামিন প্রাপ্ত হন। কারন তার প্রথম স্ত্রী ফারজানা রুপা প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সংগ্রহ করেন বা সেই বীটের সাংবাদিক। তাছাড়া সরকারী মহলে রুপার অনেক যোগাযোগ রয়েছে বলেই সেই প্রভাবে স্বামী শাকিলের জন্য রুপা সবটুকুই চেষ্টা করে সার্মথ্য হন।
কিন্তু শাকিলের দ্বীতিয় স্ত্রী নাজনীন মুন্নীকে নিয়েও শাকিল প্রকাশ্যে এবং গোপনে দুই সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন। খোজ নিয়ে জানাযায় প্রথম স্ত্রী রুপাও মুন্নীসহ শাকিলের অন্যসব নারী ঘটিত কেলেংকারীর কারনে এক রকম হাত ধুয়ে ফেলেছেন্ কারন একাত্তরের নানা অনুষ্টানে শাকিল রুপা এবং মুন্নকে এক সাথেই চলাফেরা করেন্ এবং শাকিলেরই কারনেই মুন্নী রাত আটটার অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন আর রুপা করে একাত্তর জার্নালে। একই অফিসে দুই স্ত্রী থাকার কারনে বাকি নারী সঙ্গীরা আপাতত শাকিরের কাছে তেমন ঘেষতে পারেনা বলে জানা যায়। তবে শাকিল আহমেদ একাত্তর টেলিভিশনের হেড অব নিউজ থাকলেও সেখানে তার অবস্থা দূর্বল বলে জানা যায়। কারন একাত্তরের মালিক মোজাম্মেল বাবু তাকে ধর্ষন মামলার কারনে চাকুরী না খেলেও এক রকম করুনা করে চাকুরীতে রেখেছেন। কারন শাকিলের দুই স্ত্রী মুন্নী এবং রুপার মন রাখার জন্যই মোজাম্মেল বাবু শাকিলের চাকুরীতে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি।
তবে জানাযায় আসছে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার বিজেসির সম্মেলনে শাকিলের নারী ঘটিত কেলেংকারীর কারনে তাকে বিজেসি থেকে পদত্যাগ করতে বলা হতে পারে। কারন বিজেসীর নারী সদস্যরা শাকিল আহমেদকে গ্রহন করতে চাইবে কিনা সেটা বড় প্রশ্ন। কারন ধর্ষন এবং ভ্রুন হত্যার সাথে জড়িত শাকিল আহমেদ তার নীতি নৈতিকতার সব হারিয়ে কি করে বিজেসীর সদস্য সচিব পদে থাকেন সেটা বিজেসির সকল সদস্যর মুখে মুখে।
সবার সামনে মিষ্টভাষী অতিভদ্র শাকিল আহমেদের প্রকৃত চরিত্র সবার সামনে উঠে আসায় বিজেসির সাধারণ সদস্যরা তার কাছ থেকে বিজেসির মুক্তি চান বলে জানা যায়। শাকিল আহমেদের নারী কেলেংকারীর কারনেই বিজেসির অনেক সদস্য বিজেসীর হাউজিং প্রকল্প থেকে তাদের নাম সরিয়ে নেন।
তবে দেশের নারী নেতৃবৃন্দ জানান একাত্তর টেলিভিশন যারা প্রগতির কথা বলে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা বলে নারী মুক্তির কথা বলে সেই প্রতিষ্ঠানে শাকিল আহমেদের কাজ করে যাওয়া এক ধরনের অবিশ্বাশ্য ঘটনা। তারা বলেন একাত্তর কতৃপক্ষের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে হয়তো সহসা। কারণ, শাকিলের প্রথম স্ত্রী ফারজানা রুপাকে এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর এ্যাটচমেন্ট থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে শাকিলের ধর্ষন মামলার কারনে। তবে শাকিল আহমেদকে একাত্তর টেলিভিশনে আর রাখা হবেনা বলে জানা যায়। কারণ, তার যৈন কেলেংকারীর জন্য শাকিল তার সহকর্মীদের সামনে খুব একটা যায়না বলে জানা যায়। তাছাড়া তার কথিত দুই স্ত্রীকে নিয়েও সেই টিভি চ্যানেলে অনেক মুখরোচক কথা বাহিরে চাউর হয় বলেই শাকিল এক ধরনের সিন্ডিকেট মেইনটেইন ছাড়া কারো সাথে কথা বলে না।
এক সিনিয়র সাংবাদিক জানান শাকিল আহমেদকে এর আগে ২০১০ সালের দিকে একুশে টেলিভিশন থেকেও বের করে দেয় সে সময়কার একুশের মালিক আব্দুস সালাম৷ কারণ, শাকিল যেখানেই কাজ করেন তার প্রাধান্য থাকে মুন্নী, রুপা এবং তার সিন্ডিকেট। ভদ্ররুপি ভন্ড একাত্তরের হেড অব নিউজ শাকিলকে একাত্তর এবং বিজেসী থেকে বের করে দেয়া হবে বলে মিডিয়া পাড়ায় গুন্জন রয়েছে। তবে শাকিলের ধর্ষনের শিকার ডা: তৃনার ধর্ষন এবং ভ্রূন হত্যা মামলা কোনো কিনারা হবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন সবার।
কিন্তু বিজেসীর সম্মেলন ঘীরে নারী কর্মীরা সোচ্চার হয়েছে। তারা নানান প্রতিবাদের শাকিল আহমেদের দ্বীতিয় স্ত্রী নাজনীন মুন্নিকে কিছুটা দুরে রাখতে পারলেও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দোহাই দিয়ে শাকিল আহমেদ এখনো বিজেসীর সকল কার্যক্রমে উপস্থিত। এটা জানা সত্বেও যে শাকিল আহমেদ একটি ধর্ষন এবং ভ্রূন হত্যা মামলার আসামী। বিজেসীর সম্মেলনে স্পীকার শিরিন শারমীন উপস্থিত থাকবার কথা থাকলেও বিজেসীর সদস্যরা সন্দেহ প্রকাশ করছে। কারন জাতীঙ সংসদের স্পীকার শিরিন শারমীন একজন ধর্ষন মামলায় অভিযুক্ত লোকের পাশে বসবেন কিনা সেটিও বিজেসীর সকল সদস্যের মুখে মুখে।
তাছাড়া বিজেসীর নারী সদস্যেরাও শাকিল আহমেদের সামনে থাকতে ইতস্তত বোধ করছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেসীর নারী কর্মীরা বলেন একজন ধর্ষক মূল মন্চে বসে নানা ধরনের ভালো কথার বুলি আওড়াবেন অথচ সে নিজেই ধর্ষন মামলার আসামী বিষয়টা আপত্তিকর। কিন্তু শাকিল আহমেদের এক ধরনের কেপ্ট পরিচালনা পর্ষদ শাকিলের বাইরে কিছু করতে অপরাগ। কারন শাকিলের প্রথম বউ ফারজানা রুপার প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ক্ষমতা রয়েছে যার কারনে বিজেসীর শাকিল কেপ্ট নির্বাহী কমিটি শাকিলের বিষয়ে একবারেই নিরব।
বিজেসীর সম্মেলনের সাধারন সদস্যরা আনন্দ করতে যান এবং সেখানে সবাই সবার সাথে ছবি তোলেন কিন্তু একজন ধর্ষক সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলে অনেকের কাছেই বিব্রতকর। সাধারন সদস্যরা বিজেসীর ট্রাস্টী চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল হক রাজাসহ অন্য ট্রাস্টী যেমন একাত্তরের শাকিল আহমেদের আরেক তাবেদার নূর সাফা জুলহাস, দীপ আযাদ, নজরুল কবির, মানস ঘোষ সবাই ধর্ষক শাকিলকে সম্মেলনে রেখেই কাজ করতে আগ্রহী। সাধারন সদস্যরা জানান এই সংস্থাটি প্রথমে সবার কাছে অনেক সন্মানের হলেও শাকিলের ধর্ষনের কারনে নানা কর্মকান্ডে এখন প্রশ্ন বিদ্ধ। সকল নারী সদস্য শাকিল মুক্ত বিজেসীর গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও শাকিলের কেপ্ট নির্বাহী কমিটি শাকিল আহমেদকে রাখার বিষয়ে অনড়।
তবে সাধারন সদস্যরা বলেন তারা ধর্ষক মুক্ত বিজেসী চান।