বৃহস্পতিবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি, অপরাধ না করে শাস্তি পেয়েছি: প্রদীপ

প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২ ১২:৪০ অপরাহ্ণ

আপনাদের জন্য, দেশের জন্য মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি। এরপরও কোনো অপরাধ না করে শাস্তি পেয়েছি বলে মন্তব্য করেছেন কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম আদালত থেকে প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় উপস্থিত অনেকেই তাকে ‘চোর চোর’ বলে সম্বোধন করেন।

এর আগে আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য প্রদীপ কুমার দাশকে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হয়। তবে এদিন প্রদীপের আইনজীবী তার সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিতের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রাখেন। তবে এদিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদের আদালতে মামলার বাদী ও দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন সাক্ষ্য প্রদান করেছেন।

দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ বলেন, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ দম্পতির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। গত ১৭ জানুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল। তবে ওইদিন সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি। আজ (বৃহস্পতিবার) সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রথম দিন মামলার বাদী রিয়াজ উদ্দিন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি মামলার বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও নথিপত্র আদালতে উপস্থাপন করেছেন। তবে হাইকোর্টে প্রদীপ কুমার দাশ এই মামলার অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে একটি আবেদন করেছিলেন। সেই সূত্র ধরে প্রদীপের সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিতের আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৬ জুলাই প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এতে আসামিদের বিরুদ্ধে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। এছাড়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, দুই কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকা জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়টি। একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর আসামি প্রদীপের উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। এরপর ওই বছরের ১৫ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক