পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি স্থানে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ভারত। মঙ্গলবার দিনগত রাতের এ হামলায় এখন পর্যন্ত আটজন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পাকিস্তান ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেনেন্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হামলার বিষয়ে তিনি বলেছেন, কোটলি, ভাওয়ালপুরের পূর্ব আহমেদপুর, বাঘ, মুজাফ্ফরাবাদ এবং মুরদিকেতে হামলা চালানো হয়েছে। এরমধ্যে পূর্ব আহমেদপুরে আমরা এক শিশু নিহত হওয়ার তথ্য পেয়েছি। অপরদিকে কোটলিতে দুই বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন।
এদিকে হামলার কথা স্বীকার করে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামে এ অভিযানে পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে।
দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর দাবি, এই হামলায় সশস্ত্র বাহিনীর অবকাঠামো লক্ষ্য করা হয়েছে; পাকিস্তানের সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে কোনো হামলা চালানো হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কিছুক্ষণ আগে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ পরিচালনা করেছে। পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু-কাশ্মিরে সন্ত্রাসীদের অবকাঠামোতে আঘাত হানা হয়েছে। যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা ও পরিচালনা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৯টি জায়গায় আঘাত হানা হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এ হামলাকে “কাপুরুষোচিত আক্রমণ” আখ্যা দিয়ে বলেছেন, পাকিস্তান ভারতের আরোপিত এই যুদ্ধাভিযানের বিরুদ্ধে জোরালোভাবে জবাব দেয়ার অধিকার রাখে।
তিনি এক্স পোস্টে লেখেন, প্রতারক শত্রু পাকিস্তানের পাঁচটি স্থানে কাপুরুষোচিত আক্রমণ চালিয়েছে। এর বিরুদ্ধে জোরালো জবাব দেয়া হচ্ছে।
শত্রুর সাথে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা পাকিস্তানের মানুষ এবং সশস্ত্র বাহিনী ভালোভাবেই জানে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
এর আগে ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মিরে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ ভারতীয় নিহত হন। ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। এর জবাবেই পাকিস্তানে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। তবে পাকিস্তান বরাবরই ওই হামলার দায় অস্বীকার করে আসছে।