বিশ্বের সর্ববৃহৎ দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র সব বিদেশি সহায়তা স্থগিত করেছে। গতকাল শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিসরে সামরিক সহায়তা এ সিদ্ধান্তের বাইরে থাকবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক দিন পর দেশটির নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও একটি অভ্যন্তরীণ নথি বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন। ক্ষমতা গ্রহণের সময় বৈদেশিক সহায়তার ওপর কঠোর বিধিনিষেধসংক্রান্ত ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি গ্রহণের আশ্বাস দেন ট্রাম্প।
ফাঁস হওয়া ওই নথিতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিটি নতুন ও বিদ্যমান সহায়তা সম্প্রসারণের প্রস্তাব পরিপূর্ণভাবে পর্যালোচনা ও অনুমোদনের আগ পর্যন্ত এগুলোর অধীন বাধ্যতামূলকভাবে অর্থ বরাদ্দ করা যাবে না।’
বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (২০ জানুয়ারি) কিছু নির্বাহী আদেশ জারি করেন। এরপরই এই বিদেশি সহযোগিতা বন্ধের বিষয়টি সামনে আসে।
ফাঁস হওয়া এই নথি অনুযায়ী, আগামী ৯০ দিনের জন্য সব মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে যে সব বৈদেশিক সহযোগিতা স্থগিত করা হয়েছে সেগুলো বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি-না তা খতিয়েও দেখা হচ্ছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক সাহায্যের জন্য ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছে, যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নোটিশে উন্নয়ন সহায়তা থেকে সামরিক সহায়তা পর্যন্ত সবকিছুর ওপর প্রভাব পড়ার কথা বলা হয়েছে।
তবে এই স্থগিতাদেশ জরুরি খাদ্য সহায়তা এবং ইসরায়েল ও মিশরের জন্য সামরিক তহবিলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
ওই নথি অনুযায়ী, কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, “পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো নতুন তহবিল অনুমোদিত হবে না বা বিদ্যমান কোনো চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা যাবে না।”