ভারতের মিসাইল হামলার জবাবে দেশটির পাঁচটি যুদ্ধবিমান (আইএএফ) ভূপাতিত করার দাবি করেছেন পাকিস্তান।
বুধবার জিও নিউজের সাথে কথা বলতে গিয়ে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, ভারতীয় বাহিনীর আক্রমণের তীব্র ও নির্ভুল জবাব দেয়ার সময় পাকিস্তান তাদের প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য দৃঢ়ভাবে কাজ করেছে।
খাজা আসিফ জানিয়েছেন, যদি ভারত আগ্রাসী মনোভাব বাদ দেয় তাহলে তারা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। কিন্তু ভারত যদি আগ্রাসী কিছু করে তাহলে তারা অবশ্যই জবাব দেবেন।
যদি এসব শত্রুতাপূর্ণ কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়, আমরা অবশ্যই ভারতের সঙ্গে কথা বলবো জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই না এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হোক। কিন্তু ভারত থেকে যদি শত্রুতাপূর্ণ কিছু আসে, তাহলে আমাদের জবাব দিতে হবে।
ভারতের যুদ্ধবিমানকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার পাশাপাশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্রিগেড সদরদপ্তরে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় মিসাইল ছোড়ে ভারত। এর জবাবে তাৎক্ষণিকভাবে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালানো শুরু করে ইসলামাবাদ। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র সরকারি টিভি চ্যানেল পিটিভিকে জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাদের ব্রিগেড সদরদপ্তরে হামলা চালিয়ে এটি ধ্বংস করা হয়েছে।
এছাড়া সীমান্ত রেখার (এলওসি) দুদনিয়াল সেক্টরে মিসাইল ছুড়ে ভারতীয় সেনাদের একটি চৌকি ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। এসবের সঙ্গে একটি ড্রোনও ভূপাতিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটি।
প্রথমে তিনটি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কথা শোনা গেলেও দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী এখন পাঁচটি বিমান ভূপাতিতের কথা জানাচ্ছেন।
এর আগে ভারত শাসিত জম্মু-কাশ্মিরে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ ভারতীয় নিহত হন। ওই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করছে ভারত। এর জবাবেই পাকিস্তানে হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। তবে পাকিস্তান বরাবরই ওই হামলার দায় অস্বীকার করে আসছে।
এদিকে ভারতের মিসাইল হামলায় এখন পর্যন্ত আটজন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন।