সহকারী সেক্রেটারি এটিএম আজহারের মুক্তি ও দলের নিবন্ধন ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দিয়েছের জামায়াতে ইসলামি বাংলাদেশের আমির ডা. শফিকুর রহমান। দলীয় নিবন্ধনের ব্যাপারে সরকারকে হুঁশিয়ার দিয়ে তিনি বলেন, কেন আমাদের নিবন্ধন আটকে রেখেছেন? আমাদের নিবন্ধন তো জালিম সরকার কেড়ে নিয়েছিল। সেই জুলুম কি আপনারাও আমাদের উপরে করবেন?
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে পল্টন মোড়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিভিন্ন সময়ের বক্তৃতা-বিবৃতিতে সহকারী সেক্রেটারি এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি ও দলের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার দাবি তুললেও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর এসব দাবিতে প্রথমবারের মতো মাঠের কর্মসূচিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি।
সমাবেশে জামায়াত আমির বলেন, জালিম সরকার জামায়াতের নিবন্ধন কেড়ে নিয়েছিল, বৈষম্যহীন সরকার এসেও নিবন্ধন ফিরিয়ে না দিয়ে জুলুম করছে।
জামায়াত কারো চোখ রাঙানিতে ভয় পায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদের বিদায় হলেও জুলুমের শিকার হচ্ছে জামায়াতে ইসলামি। তবে জামায়াত কারো চোখ রাঙানিতে ভয় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ন্যায্য পাওনা না দিয়ে তাদের রাজপথে নামতে বাধ্য করা হয়েছে।
এসময় দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে রাজধানী অচল করার ঘোষণা দেন জামায়াতের ঢাকা মহানগরের নেতারা।
যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী ফ্যাসিবাদের কবলে ছিল। ফ্যাসিবাদের বিপক্ষ রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে হিংস্র প্রথম থাবাটি এসেছিল জামায়াতে ইসলামীর উপরে। সব শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে এক এক করে বন্দি করা হয়। সে সময় দলের গুরু দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের কাঁধে। তিনি তখন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছিলেন। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, এক এক করে ১৩টি বছর অতিবাহিত হয়েছে। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে তিনি এখনো আছেন। বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হলো, আমাদের প্রশ্ন ফ্যাসিবাদের কঠিন সাক্ষী আজহারুল ইসলাম মুক্ত হলেন না কেন? কোন জিনিসটা তাকে এখনো আটকে রাখতে বাধ্য করেছে? কেন এই বৈষম্য? আর ১৩ মিনিটও তিনি জেলের ভেতর থাকুক আমরা তা আর চাই না।