বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এখন নির্বাচনের দাবি করাটা যেন অপরাধ, এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বিরাজনীতিকরণকে উৎসাহিত করলে গণতন্ত্রে হুমকির মুখে পড়বে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার কেন সময়ক্ষেপণ করছে এ নিয়ে জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি হচ্ছে। তাই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। দলগুলোকে জনগণের মুখোমুখি করার উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে।
দেশের প্রতিটি দল রাজনৈতিক সংস্কারের পক্ষে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এরপরেও রাজনৈতিক দলগুলোকে অবজ্ঞা করলে তা বিরাজনীতিকরণের দিকে দেশকে ঠেলে দেবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে জনগণের আদালতে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে হবে বলেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শুক্রবার (২ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ৫৪ বছরের সবচেয়ে বড় দুটি অর্জন ৭১ আর ২৪। এই দুই অর্জনের মাধ্যমে যে বার্তা আমরা পেয়েছি তা হলো, দিল্লির তাবেদারি করার জন্য এই দেশের জন্ম হয়নি। পলাতক স্বৈরাচার এটিকে ভারতের তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সবসময় জনগণের সরাসরি ভোটে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। এটিই স্বাভাবিক। তবে দেশে এখন এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যেন নির্বাচন চাওয়া অপরাধ।
কিতাবি কিংবা পুঁথিগত সংস্কার দিয়ে ফ্যাসিবাদ ঠেকানো যায় না উল্লেখ করে বিএনপির এই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের স্বার্থের প্রশ্নে সকল রাজনৈতিক দলের অবস্থান এক ও অভিন্ন। ব্লেইম গেম দিয়ে দায়িত্ব এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই এই সরকারের। নতুন যে সরকার গঠিত হবে তারা পলাতক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।