প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের বিদায় সংবর্ধনা শুরু হয়েছে। আজ শেষদিনের মতো আপিল বিভাগে বিচারকাজ পরিচালনা করেছেন প্রধান বিচারপতি।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ১ নম্বর কোর্টে (প্রধান বিচারপতির এজলাস) এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ সময় সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
এ সময় আপিল বিভাগে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, বিভিন্ন ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি, আইনজীবী, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কর্মকর্তা ও প্রধান বিচারপতির শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
বিদায়ী বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, গণতন্ত্র যতদিন আমাদের মূল মূল্যবোধ থাকবে, ততদিন সুপ্রিম কোর্ট ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার শেষ আশ্রয় হয়ে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান বাতিল নয়, জুলাই বিপ্লবের লক্ষ্য ছিলো, সংবিধানের সাথে জবাবদিহিতার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা।
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক অনুকম্পায় বিচারক নিয়োগের সংস্কৃতি ভেঙেছেন প্রধান বিচারপতি এবং তার হাত ধরেই মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পূর্ণতা এসেছে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সৎ, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে প্রধান বিচারপতি সাংবিধানিকসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলা নিষ্পত্তি করেছেন।
আগামী ২৭ তারিখ অবসর গ্রহণের কথা থাকলেও, আজই ছিলো আপিল বিভাগে প্রধান বিচারপতির শেষ কার্যদিবস।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব নেন সৈয়দ রেফাত আহমেদ। ২০২৪ সালের ১১ আগস্ট প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি শপথ নেন। সংবিধান অনুযায়ী, বিচারপতিদের অবসরের বয়স ৬৭ বছর।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ১৯৫৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। সে হিসেবে প্রধান বিচারপতির বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে ২৭ ডিসেম্বর। সেদিন ছুটি থাকায় আগামীকাল তার শেষ কর্মদিবস। প্রথা অনুসারে শেষ কর্মদিবসে বিদায়ী বিচারপতিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বিদায়ী সংবর্ধনা জানানো হয়।













The Custom Facebook Feed plugin