রাজনৈতিক সংকটে টালমাটাল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর হলেন দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতক দল ভূমজাইথাই পার্টির প্রেসিডেন্ট আনুতিন চার্নভিরাকুল। আজ শুক্রবার দেশটির পার্লামেন্টে এমপিদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের মোট আসনসংখ্যা ৪৯২। বিজয়ের জন্য কমপক্ষে ২৪৭ জন এমপির ভোট পাওয়া জরুরি ছিল ৫৮ বছর বয়সী আনুতিনের জন্য। ভোটের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, আনুতিনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩১১ জন এমপি।
শুক্রবারের পার্লামেন্ট ভোটের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রার স্থলাভিষিক্ত হলেন আনুতিন।
তবে গত জুন মাসে বৈরী প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন-এর সঙ্গে পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রার একটি ফোনকল রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে তার নেতৃত্বাধীন সরকার। এই ঘটনার জেরেই সাংবিধানিক আদালতের রায়ে পদ হারাতে হয় পায়তংতার্নকে। ফোনকল রেকর্ড ফাঁসের ঘটনাকে ঘিরে গত জুন মাসেই জোট থেকে সরে গিয়েছিল আনুতিনের ভূমজাইথাই পার্টি।
শুক্রবারের ভোটাভুটিতে থাইল্যান্ডের প্রধান বিরোধী দল পিপলস পার্টি আনুতিন চার্নভিরাকুলকে সমর্থন দিয়েছে। দলটির একজন এমপি নাম প্রকাশ না করার শর্তে রয়টার্সকে বলেছেন, “আনুতিন আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে আগামী চার মাসের মধ্যে পার্লামেন্ট বিলোপ করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। এ কারণেই আমরা তাকে সমর্থন দিয়েছি। যদি তিনি প্রতিশ্রুতি না রাখেন, তাহলে পিপলস পার্টি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেবে।”
সূত্র : রয়টার্স, আলজাজিরা












The Custom Facebook Feed plugin