উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়াল মাদ্রিদের এতদিন রেকর্ড ছিলো ১৪ শিরোপা। এখন ১৫। সংখ্যা বাড়াতে শনিবার ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে সাবধানী খেলতে থাকে দু’দল। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে রিয়ালের ওপর চাপ বাড়ায় ডর্টমুন্ড। একের পর একে আক্রমণে রিয়াল রক্ষণকে ব্যস্ত রাখে জার্মান জায়ান্টরা।
প্রথমার্ধে সুযোগ ডর্টমুন্ডই বেশি তৈরি করে। সেসব সুযোগ ভেস্তে যাওয়ার পর ঋদ্ধ অভিজ্ঞতা আর কৌশল দিয়ে অনায়াসে ম্যাচ বের করে নেয় সফলতম ক্লাব।
খেলার ১৪ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় ডর্টমুন্ড। নিকো স্লটারব্যাকের কাছ থেকে ক্রস পেয়ে নিকোলাস ফুলক্রুর্গ ঘুরে বল আসে জুলিয়ান ব্র্যান্টের সামনে, তিনি মারেন বাইরে।
পরের কয়েক মিনিটে প্রবল স্নায়ুচাপের মুহূর্ত তৈরি হয় রিয়ালের জন্য। ২১ মিনিটে ম্যাট হামেলসের কাছ থেকে বল পেয়ে ছুটে যান করিম আদেয়েমি। কর্তোয়াকে কাটিয়েও জালে ঢুকাতে পারেননি, গোলমুখে তাকে শট নিতে দেননি কারভাহাল।
তিন মিনিট পর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে জার্মানির ক্লাব। এবার ইয়ান মাতেসেনের কাছ থেকে বল পেয়ে ফাঁকা বার পেয়েও পোস্টে মারেন ফুলক্রুর্গ। নিশ্চিত গোল হজমের হাত থেকে বেঁচে যায় রিয়াল। দুই মিনিট পর আরেকটি বিপদের হাত থেকে দলকে বাঁচান কর্তোয়া।
ডর্টমুন্ডের তুমুল আক্রমণের স্রোতে ৩০ মিনিটে গিয়ে প্রথম কর্নার পায় রিয়াল। যদিও তাতে সুযোগ তৈরি হয়নি, উল্টো প্রতি আক্রমণে গিয়ে চাঙ্গা ভাব দেখায় ডর্টমুন্ড।
পরের কয়েক মিনিট স্তিমিত থাকলেও ৪১ মিনিটে আবার সুযোগ পেয়েছিল ডর্টমুন্ড। এবার মার্সেল সাবিতজারের মারা শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচান কর্তোয়া।
বিরতি থেকে ফিরেই অবশ্য দৃশ্যপট বদলে দেয় রিয়াল। যথারীতি ধারণ করে বিধ্বংসী চেহারা! মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই দুইবার ডর্টমুন্ডের জালে বল পাঠিয়ে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। বনে যায় রাজা।
প্রথম গোলটি আসে ৭৪তম মিনিটে। ক্লাব ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলতে নামা টনি ক্রুসের কর্নার থেকে বাড়ানো বলে মাথা ছুঁইয়ে লিড এনে দেন দানি কারবাহাল।