বয়স ৩৪ চলছে তার। ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বিকেল। মিলান তারকা ইব্রাহিমোভিচের মতো ৪১ বছর বয়সেও না খেললে হয়ত আর কয়েকটা বছর মাঠের লড়াইয়ে থাকবেন মেসি। সবমিলিয়ে অবসরের সিদ্ধান্তের দুয়ার স্বচোখেই দেখছেন মেসি।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের সামনে আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানার আভাস দিলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। যদিও কবে অবসরে যাবেন তার দিনক্ষণ জানাননি।
ঘরে মাঠ বোকা জুনিয়র্সে এদিন ভক্ত-সমর্থকদের ভালোবাসায় সিক্ত হলেন মেসি। গোটা ম্যাচ জুড়ে গ্যালারি থেকে ‘মেসি, মেসি, মেসি…’ গর্জন শোনা গেছে। মেসিকে অভিনন্দন জানাতে কার্পণ্য করেনি গ্যালারির কেউ।
জয়ের পর দল নিয়ে মাঠে ‘ল্যাপ অব অনার’ দিয়ে দর্শকের অভিনন্দনের জবাবও দেন মেসি।
শনিবার ভোরের ম্যাচে মেসির উদ্দেশ্যে একটু বাড়তি ভালোবাসা দেখিয়েছেন দর্শকরা। মেসিকে ভক্ত-সমর্থকদের এতো উল্লাস, গর্জন ছিল ম্যাচ শুরুর প্রথম থেকেই। এর কারণ কি?
অনুমান করা হচ্ছে, আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় কাতার বিশ্বকাপের আগে এ ম্যাচই হতে পারে দেশের মাঠে আর্জেন্টিনার শেষ ম্যাচ। সেক্ষেত্রে ভেনিজুয়েলার বিপক্ষে এ ম্যাচই হতে পারে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ঘরের মাঠে মেসির শেষ ম্যাচ।
তাই স্বদেশি ভক্তরা বেশি আপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন।
বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন কিনা প্রশ্নে মেসি বলেন, ‘বিশ্বকাপের পর কী করব, আমি জানি না। এরপর কী হতে পারে, তা নিয়ে ভাবছি আমি। কাতার (বিশ্বকাপের) পর অনেক কিছু নিয়েই আমাকে ভালোমতো ভাবতে হবে। (জাতীয় দলের হয়ে) খেলা চালিয়ে যাব কি-না, আমি জানি না। বিশ্বকাপের পর কী হবে বা কী করব, ভেবে দেখব। এই মুহূর্তে আমার ভাবনায় কেবল ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ। তারপর জুন ও সেপ্টেম্বরের প্রস্তুতিমূলক ম্যাচগুলো। আশা করি, সবকিছু ভালোমতো এগিয়ে যাবে। তবে এটা নিশ্চিত, বিশ্বকাপের পর অনেক কিছু বদলে যাবে।’
শনিবার ভোরের ম্যাচে দাপট দেখিয়েছে আর্জেন্টিনা। ভেনেজুয়েলাকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় স্বাগতিকরা। প্রথমার্ধে নিকোলাস গনসালেস ভেনেজুয়েলার জালে বল পাঠান। ১-০ গোলে প্রথমার্ধ শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান আলবিসেলেস্তেদের আরেক অভিজ্ঞ তারকা আনহেল ডি মারিয়া। শেষ গোলটি করেন রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী লিওনেল মেসি।