এ আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যায়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, আন্দোলনে কোনো শিশু মারা যায়নি। এখানে হয়তো দু-একজন কিশোর মারা গিয়েছে।
আজ শনিবার রাত সোয়া ১০টায় সমসাময়িক বিষয়ে সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাতিসংঘের দেওয়া ৩২ জন শিশু নিহতের তথ্য তুলে ধরে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুর সংজ্ঞাটা আপনি হয়তো সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করছেন না। মানে একটা সংজ্ঞা আছে, শিশু কাকে বলে। ১৮ বছরের বয়সীকে কিশোর বলে, শিশু বলে না। আর ১৮ বছরে আমার মনে হয়, সে যৌবনপ্রাপ্ত হয়ে যায়। সে তখন আর কিশোরও থাকে না। সে একটা যুবক, আমাদের মতে।’
‘কিন্তু যেহেতু বয়সের একটা সীমারেখা রয়েছে, সেজন্য তাকে এখন কিশোর বলা হয়। কোনো শিশু এখানে মারা যায়নি। শিশু বলতে আমরা যা বুঝি, কোনো শিশু মারা যায়নি। এখানে হয়তো দু-একজন কিশোর মারা গিয়েছে,’ বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, এই আন্দোলনের সময় ঢাল হিসেবে তাদেরকে নিয়ে আসা হয়েছিল। তারা সামনে ছিল, পেছনে ছিল যারা আসল। তাদের চেহারাটা… শিশুদের আড়ালেই তারা ছিল। পেছনের শক্তিকে রুখতে এই ঘটনাগুলি ঘটেছে।’
আগামীকাল থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘অসহযোগ আন্দোলন’ কর্মসূচির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারা এটা ভুল আন্দোলন করছেন বলে আমি মনে করি। যেহেতু তাদের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে সুতরাং তাদের এ সমস্ত… এ অসহযোগ আন্দোলন আমার মনে হয়, তাদের তুলে নেওয়া উচিত।’
এক সাংবাদিক পুলিশের গুলিতে সাংবাদিকদের নিহত হওয়ার প্রসঙ্গে তুললে তিনি আরও বলেন, ‘না, না, এ আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে কেউ মারা যায়নি। না, এ আন্দোলনে কেউ (মারা) যায়নি।’
কাদের গুলিতে মানুষ মারা গিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আজকে গুলির যে তথ্যগুলো আমরা পেয়েছি, এর অনেকগুলোই পুলিশের রাইফেলের গুলি না। পুলিশ ব্যবহার করে না এগুলো।’
এক সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘যুবলীগের নেতা বাধা দিতে গিয়েছে। গুলি করতে যায় নাই। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, আমার ছাত্রলীগের নেতা কয়জন মারা গিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতা কয়জন মারা গিয়েছে। সেটা জিজ্ঞেস না করে উল্টোটা বলছেন।’












The Custom Facebook Feed plugin