ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সরকারি কর্মকর্তা মতিউর রহমানের জমি ও ফ্ল্যাটসহ অঢেল সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আদালত এসব সম্পদ জব্দ করে হেফাজতে নিতে দুদককে অনুমতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালতে মতিউরের সম্পদ জব্দের আবেদন করে দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে ঢাকা ও অন্যান্য জায়গায় ৮৬৬ শতক জমি এবং ঢাকার চারটি ফ্ল্যাট।
দুদকের আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত এসব সম্পদ জব্দ করতে নির্দেশ দেন।
ঈদের আগে ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কেনা নিয়ে দেশজুড়ে তুমুল আলোচনায় আসেন সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যরা। বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার অঢেল সম্পদের তথ্য প্রকাশিত হয়।
এরপর তার ও পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের খোঁজে নামে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত করতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দুদকের আবেদনে মতিউরকে বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তার স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকী ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
সরকারি চাকরি করে মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যরা কীভাবে বিপুল বিত্ত বৈভবের হলেন তা নিয়ে প্রশ্নের অন্ত নেই। একাধিক বাড়ি, কয়েকটি বিলাসবহুল গাড়ি ও ফ্ল্যাট, রিসোর্ট, জমি, শিল্প কারখানার মালিকানাসহ শেয়ারবাজারেও বিরাট অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে তাদের।