সরকার প্রধানের পদে থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে করা তিন মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। জুলাই গণহত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডের পর এবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় দ্বিতীয় রায় হলো।
তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং সজীব ওয়াজেদ জয়কে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। এ মামলার আরেক আসামি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকারকে খালাস করে রায় দিয়েছে আদালত।
শেখ হাসিনা, তার ছেলে ও মেয়ে সকলে পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই এই মামলার বিচার হয়েছে। এ মামলার ২৩ জন আসামির মধ্যে শুধুমাত্র রাজউকের একজন কর্মকর্তা খুরশিদ আলম কারাগারে রয়েছেন। মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ পর্যায়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
২৩ জনের মধ্যে এই একজন আসামিই শুধু কারাগারে রয়েছে। রায়ের দিন সকালে বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) তাকে কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এ মামলার আরেক আসামি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকারকে খালাস করে রায় দিয়েছে আদালত।
মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, সরকারি সম্পত্তি নিজের নামে নিয়ে রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন শেখ হাসিনা।একই সাথে প্লট নেওয়ার জন্য যে হলফনামা দেওয়া হয়েছিল তাতে নোটারি করা ছিল না বিধায় সেই হলফনামা জাল নথি ছিল বলে রায়ে উল্লেখ করেছে আদালত।
এছাড়াও প্লট বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজউকের বিধিমালা বা কোনো নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি বলেও রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছে আদালত।
শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে এ বছরের জানুয়ারিতে মোট ছয়টি মামলা করে দুদক। প্লট দুর্নীতির ছয় মামলাতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়েছে। প্রতিটি মামলারই বিবরণই প্রায় একরকম।
গণ অভ্যুত্থানের মুখে গত পাঁচই আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর, গত ডিসেম্বরে তাদের বিরুদ্ধে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা করে ছয়টি প্লট বরাদ্দে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। মোট ৬০ কাঠার প্লট।


















