রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ১৭ সদস্যের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
শনিবার বিকেলে আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক মো. নূর ইসলাম। এসময় জামিনের আবেদন করে আসামিপক্ষ।
শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমানের আদালত আসামিদের প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে।
রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিরা হলেন- মো. আব্দুল্লাহ (২২), তরিকুল ইসলাম (৩৫), আহমেদ নাফিজ মোর্শেদ (২৭), মো. শাহাদাত হোসেন (৩৬), তানভির মাহতাব রাফাত (২৯), মোহাম্মদ আবু শোহাইব (৩৪), আশফাক আহম্মেদ (২২), সাব্বির হোসাইন ওরফে জিউন (২১), মো. রিফাত ইসলাম রশিদ (২১), মো. আল রাফি সাজ্জাদ (২৩), রেদোয়ান বিন শহিদুল (২০), মিয়াজী আব্দুল্লাহ আল মুত্তাকী (১৯), হাবিবুর রহমান (২৩), মো. হেলাল উদ্দিন (৪৫), আসাদুজ্জামান নূর (১৮), তানিম শিকদার শিহাব (১৮) ও আহমেদ নাসিফ কবির কাব্য (১৮)।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ৭ মার্চ দুপুর অনুমান ২টার সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে অজ্ঞাতনামা ২০০০/২২০০ জন ব্যক্তি মার্চ ফর খেলাফত, হিযবুত তাহরীর, উলাইয়াহ্ বাংলাদেশ ব্যানারে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্যরা মিছিল বের করে। এরপর তারা পল্টন মোড়ের দিকে যেতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়। আসামিরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে দুপুর আনুমানিক ২টা ১০ মিনিটে পল্টন মডেল থানাধীন পল্টন মোড় এল মল্লিকের সামনে পাকা রাস্তার ওপর সরকারবিরোধী, দেশের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করার প্রয়াসে তারা পতাকা, ব্যানার, লাঠিসোঁটা নিয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে থাকে। তখন পল্টন মোড় এলাকায় ডিউটিরত পুলিশ ফোর্স মিছিল বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের প্রতি ক্ষিপ্ত হইয়া ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
তখন পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ জান-মাল রক্ষার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে অবৈধ মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য গ্যাস গান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। তবুও নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ অব্যাহত রাখে। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও বলা হয়, ঘটনাস্থলে তাদের ব্যবহৃত পতাকা, স্লোগান ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর সক্রিয় সদস্য ও সমর্থক। এ ঘটনায় পল্টন থানায় উপপরিদর্শক রাসেল মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন।