প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ উপকূলে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আঘাতের পর উপকূল অতিক্রম করতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ এবং মোংলা থেকে ২২০ কিলোমিটার দুরে রয়েছে।
তবে এরি মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগ উপকূলে পৌঁছে যাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ো ও দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে সাগর। তীব্র জোয়ারের ধাক্কায় বিভিন্ন জায়গায় উপকূল রক্ষা বাঁধ ভেঙে পড়েছে। হুহু করে লোকালয় ঢুকে পড়ছে সাগরের পানি। প্লাবিত হচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র আঘাত করবে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও পশ্চিমবঙ্গের সাগর আইল্যান্ডে। তিন থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্র অতিক্রমের পর উপকূল পার হবে ঝড়ের পেছনের অংশ।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটা গতিবেগ রয়েছে ৯০ কিলোমিটার, যা ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে।
রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় কয়েকটি জেলার দ্বীপ ও চরে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এর প্রভাবে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল।
এদিকে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে চার হাজার আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং এরি মধ্যে ৫০ শতাংশ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মহিবুর রহমান।