নানা গুঞ্জনের মধ্যে ভোটে জোট করা নিয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করেছে জাতীয় পার্টি। গত তিন ভোটের ধারাবাহিকতায় আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েই জাতীয় পার্টি ভোটের মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার লিখিতভাবে জাতীয় পার্টির এ সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে ইসিতে পাঠানো ওই চিঠিতে সই করেছেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
এদিকে আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলের মনোনয়নের ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নমুনা সই ইসিতে জমা দিয়েছে জাতীয় পার্টি।
শনিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাছে পাঠানো চিঠিতে রওশন লিখেছেন, জাতীয় পার্টি বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক দল হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্বান্ত গ্রহণ করেছি।
‘এটা হবে শুধু মাত্র নির্বাচনী জোট। নির্বাচনের পর জাতীয় পার্টির নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা দলীয় সিদ্ধান্ত অনুসরণ করবেন,’ উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
আসন্ন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক লাঙল অথবা প্রার্থীর ইচ্ছানুসারে মহাজোটে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে পারবেন বলেও লিখেছেন রওশন এরশাদ।
আর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালকে অনুরোধ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা।
সাবেক সেনাশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের গড়া দল জাতীয় পার্টি ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গঠন করে।
এরপর গণ-আন্দোলনে এরশাদের পতনের পর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে জাতীয় পার্টি। এরশাদ কারাগারে থাকা অবস্থায় ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৫ আসন পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে আসে দলটি।