বৃহস্পতিবার , ২৫ আগস্ট ২০২২ | ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

আগামী সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী চায় ইসি

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ২৫, ২০২২ ১:৩০ অপরাহ্ণ

আগামী জাতীয় সংসদ ভোটের মাঠে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি জানান, এজন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে।

ইসি আলমগীর বলেন, সেনাবাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকবে। এর বাইরে তারা অন্য কিছু দেখতে পারবে না। তবে তাদের অনেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) টেকনিক্যাল সহকারী হিসেবে মাঠে থাকবে।

তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোনো দল অংশ নিলেও নির্বাচন হবে, না নিলেও নির্বাচন হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাওঁয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আগামী সাধারণ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেব- সেটা আমাদের সিদ্ধান্ত আছে। সরকারকে প্রস্তাব দেব সেনাবাহিনীর সহায়তা দেওয়ার জন্য।’

ইসি আলমগীর বলেন, ‘যেহেতু সরকারের যে কোনো সংস্থার সহযোগিতা আমরা চাইতে পারি। সংবিধান অনুযায়ী বলা আছে। কাজেই সেনাবাহিনীর যদি সহায়তা চাই, সরকার সেই সহায়তা দিতে বাধ্য।’

নির্বাচনের সময়ে সেনাবাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে এ কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলার বাইরে তাদের অন্য কিছু দেখার সুযোগ নাই। ইভিএমে যেখানে ভোট হবে সেখানে এক্সপার্ট হিসেবে সেনাবাহিনীর টেকনিক্যাল সদস্যরা সহকারী হিসেবে থাকবেন। এ ছাড়া অন্য কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ তাদের নেই।’

বিএনপি যদি না আসে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘৩৯টি রাজনৈতিক দল আছে। কোনো দল যদি না আসে নির্বাচন যে বন্ধ রাখতে হবে- এমন কথা তো কোথাও বলা নাই। আইন অনুযায়ী, নির্বাচন করাটাই বাধ্যকতামূলক। না হলে আমরাই সংবিধান বিরোধী কাজ করব। সংবিধান ভঙ্গের দায়ে দায়ী হবো। যে কোনো রাজনৈতিক দল আসলেও নির্বাচন হবে। না আসলেও নির্বাচন হবে।’

জাতীয় নির্বাচনের সময়ে চারটি মন্ত্রণালয় ইসির অধীন রাখার আলোচনার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ‘আমরা চারটি মন্ত্রণালয়কে চাইনি। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব ছিল যেন নির্বাচনকালীন সময়ে ওই মন্ত্রণালয়গুলো নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। আমরা সেটার সঙ্গে একমত হইনি।’

মন্ত্রণালয়ের কাজের ধরন ভিন্ন উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন, ‘তাদের ডে-টু-ডে জনগণের সেবা দিতে হয়। তাদের কাজের নেচার এক রকম, আমাদের কাজের নেচার এক রকম। সরলভাবে যেভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বাস্তবে এটা সম্ভব না।’

সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ টেনে তিনি বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচনকালীন সময়ে সরকারের সব সংস্থা-মন্ত্রণালয়ে নির্বাচন কমিশন সাহায্য চাইলে তারা সাহায্য করতে বাধ্য। অতএব নির্বাচন কমিশন সংবিধানের আলোকে নির্বাচন সংক্রান্ত সময়ে যে সমস্ত বিষয়ে তাদের সহযোগিতা নেওয়া দরকার সে বিষয়ে অবশ্যই তাদেরকে বাধ্য করা হবে- আমরা সেটাই বলেছি।’

নির্বাচনী রোডম্যাপ সম্পর্কে ইসি আলমগীর বলেন, ‘রোডম্যাপের খসড়া চূড়ান্ত হয়েছে। বর্তমানে এটা কমিশনের কাছে আছে।এ মাসের শেষে অথবা সামনের মাসের শুরুতে রোডম্যাপের বিষয় চূড়ান্ত হবে।রোডম্যাপে থাকবে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে গেলে কি কি কাজ করা প্রয়োজন সেগুলো কীভাবে বাস্তবায়ন করব। কী চ্যালেঞ্জ থাকবে। কীভাবে মোকাবিলা করব।’

সর্বনিম্ন কতটি আসনে ইভিএম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের সক্ষমতা আছে ৭০ থেকে ৮০টি। পরিস্থিতি যদি এমন হয় আমরা ১৫০ আসনেই করতে পারব, তাহলে ১৫০ আসনেই করব। যদি আমাদের প্রকিউরমেন্ট করা সম্ভব না হয়, তাহলে ৭০-৮০ আসনেই হতে পারে। যদি মেশিন আরও নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে ৫০টায় হতে পারে।’

১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করতে আরও দেড় থেকে দুই লাখ ইভিএম কিনতে হবে বলে জানান এই কমিশনার। প্রকিউরমেন্ট কাজ শুরু হয়ে গেছে কি না- এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি তিনি।

‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগ সরকারের সঙ্গে ইসি আতাত করেছে’- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নাই।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক