সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন’ প্রত্যাহারের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালনকারী শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সেতুমন্ত্রী সন্ধ্যায় মিটিংয়ের সময় দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে তিনি সেটি বুধবার সকালে ঠিক করেছেন।
অবস্থান কর্মসূচি চলবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক আন্দোলন চলতে থাকবে।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, কোনোরকম হিসাব ও দূরদর্শী পর্যবেক্ষণ ছাড়াই চালু করা হয়েছে প্রত্যয়, যা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিলে ৩০ বছর পর প্রত্যয় থেকে যা পাওয়া যাবে, তা তেমন কোনো অর্থই বহন করবে না। এতে আনুতোষিক বা গ্র্যাচুইটি বাবদ একজন অধ্যাপক যে ৮১ লাখ টাকা পান, তা থাকছে না।
শিক্ষকদের দাবি তিনটি হলো- ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে (জ্যেষ্ঠ সচিবরা যে ধাপে বেতন পান) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো প্রবর্তন।
এদিকে বুধবার বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করা হয়।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে মন্তব্যের জেরে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর পদত্যাগ দাবি করেন।