সহিংস আন্দোলনের মধ্যে কোটা নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর আগামী রোববারই আপিল বিভাগে শুনানি হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের বিশেষ চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দিয়েছে।
এর আগে দুপুরে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, কোটা নিয়ে আপিল বিভাগে শুনানি এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষ।
কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র জারি করে সরকার। গত ৫ জুন সেই পরিপত্রের আংশিক অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। এর ফলে সরকারি চাকরিতে ফিরে আসে আগের কোটা পদ্ধতি।
তবে হাইকোর্টের আদেশ না মেনে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কয়েকদিন শাহবাগ ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আন্দোলন চলার পর সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
গত রোববার থেকেই সহিংসতায় রূপ নেয় আন্দোলন। মঙ্গলবার থেকে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।
এরি মধ্যে গত ১০ জুলাই হাইকোর্টের দেয়া রায়ের উপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দেয় আপিল বিভাগ। এর ফলে, আগামী সাত আগস্ট পরবর্তী শুনানির আগ পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় কার্যকর হবে না।
অর্থাৎ কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র অনুযায়ী, কোটা বাদেই এই একমাস নিয়োগ চলবে বলে জানান।
কিন্তু এই সিদ্ধান্ত আন্দোলনকারীরা মেনে না নিয়ে তারা সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্দেশনা চান। আর আন্দোলন হয়ে ওঠে সহিংস। এরপরই শুনানির দিন এগিয়ে আনার আবেদন করা হবে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিলো। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা ও অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা।
আর ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন কোটা সংরক্ষিত ছিলো।
আন্দোলনকারীরা দাবি জানাচ্ছেন যে, এই কোটা সংস্কার করতে হবে। আবার সরকারও বলছে সংস্কারের কাছে।