শেষ হয়েও যেন শেষ হচ্ছে না বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির নির্বাচন। ভোট হওয়ার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও থামছে না নির্বাচন নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক। ।
এবারের নির্বাচনে ১৩ ভোটে চিত্রনায়িকা নিপুণকে হারিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হওয়া জায়েদ খানের প্রার্থীতা বাতিল নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। ভোটের পর জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের জন্য নির্বাচনের আপিল বোর্ডের কাছে আবেদন করেন নিপুণ।
নিপুণের দাবি, বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার- সবাই কাজ করেছেন জায়েদ খানের পক্ষে। তাই ফলাফল গেছে তার বিপক্ষে।
আগামীকাল আপিল বিভাগ এই আবেদনের রায় জানাবে বলে জানা গেছে। আপিল বিভাগের রায়ের উপরই ঝুলে আছে জায়েদ খানের ভাগ্য। এই আপিল বোর্ডের প্রধান হিসেবে আছেন পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান।
এদিকে শুক্রবারের খবর, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। একই নোটিশ পাঠিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আপিল বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেনকেও। ব্যারিস্টার মুজিবুল হক ভূইয়া সাক্ষরিত এ আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বৃহস্পতিবার।
২৯ জানুয়ারির পর আপিল বোর্ডের কার্যক্রম অবৈধ উল্লেখ করে জায়েদ খান বলেন, ‘নির্বাচনি তফসিল অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি বিকাল ৫টার পর থেকে আপিল বোর্ড মৃত।
জায়েদ আরও বলেন, একটি মেয়াদোত্তীর্ণ সংস্থা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে, যার কোনো আইনগত ভিত্তিও নেই। শনিবারে নাকি একটি বৈঠক ডেকেছে সেখানে আমাকেও উপস্থিত থাকতে হবে, এই মর্মে আমার পিয়নের কাছে চিঠি ধরিয়ে দিয়েছে। আপিল বোর্ড ২৯ তারিখ বিকেল পাঁচটার পর আপত্তি নিষ্পত্তি করেছে নিপুণ পরাজয় মেনে নিয়ে সাক্ষর করে চলে গেছে। এখানেই আপিল বোর্ডের কাজ শেষ হয়ে গেছে। ’
এদিকে জায়েদ খানের উকিল নোটিশপ্রাপ্তির কথা স্বীকার করে সোহানুর রহমান সোহান। তিনি বলেন বলেন, ‘আমার হাতে একটি আইনি নোটিশ এসেছে। এটা নির্বাচনকে নিয়েই। বিষয়টি এখনো আমার পড়া হয়নি। দেখে জানাবো কি আছে এতে।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি নির্বাচনের পর জায়েদ খানের বিরুদ্ধে গুরুতর কিছু অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন কাঞ্চন প্যানেলের এ সদস্য।
এর পর শিল্পী সমিতির নির্বাচনি গঠনতন্ত্রবহির্ভূত ভোট কেনাবেচার অভিযোগ এনে জায়েদ খান ও চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন নিপুণ।
নিপুণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের একটি আবেদন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হয়ে পুনরায় আপিল বিভাগের কাছে দিকনির্দেশনার জন্য আসে।
চিঠিতে বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্যপদে চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে আপিল বিভাগের চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।