মঙ্গলবার , ১৮ জুন ২০২৪ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

আবারও অশান্ত পাহাড়, ৬শতাধিক গুলি বর্ষণ, নিহত এক, আহত দুই

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুন ১৮, ২০২৪ ১০:৩৭ অপরাহ্ণ

আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে রাঙ্গামাটির পাহাড়। আঞ্চলিক দুটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে আবারও ঘটেছে গোলাগুলির ঘটনা। এতে এক বাসের সহকারী নিহত ও দুই জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, এসময় ছয় শতাধিক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। বাড়তে পারে হতাহতের সংখ্যাও।

সূত্র বলছে, এখানেই শেষ নয়, আরও বড় রূপ নিতে চলেছে দুপুরের সংঘর্ষ। এদিকে ভয়ঙ্কর এই ঘটনায় পাহাড়ের আটক পড়েছেন ঈদে বেড়াতে যাওয়া বহু পর্যটক।

নিহতের নাম মো. নাঈম। তিনি স্থানীয় শান্তি পরিবহন বাসের সহকারী বলে জানা গেছে। আহতরা হলেন- দুলেই চাকমা ও চিক্কো চাকমা।

মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়ের বাঘাইহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলার বাঘাইহাট এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বেলা ১১টাটর দিকে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট- ইউপিডিএফ (প্রসিত পন্থি) দলের নেতৃত্বে প্রায় পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসী বাঘাইহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা ফাঁকা গুলি ছুড়ে ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে  ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের অবস্থানের দিকে আগাতে থাকে। এসময় ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক দলের সদস্যরা আত্মরক্ষায় বাঘাইহাট স্কুলের তৃতীয় তলায় অবস্থান নেয়। তখন গ্রামবাসীরা স্কুলের গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। পরে দুটি দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়।

তারা জানান, গুলিবিদ্ধ নাঈমকে উদ্ধার করে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে বিকেলে ইউপিডিএফের রাঙ্গামাটি ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা, প্রতিবাদ এবং দ্রুত হত্যকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানান, সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় নাঈমকে দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এ ঘটনার পর পুরো বাঘাইহাট বাজারে নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।

বাঘাইছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এর আগে গত ১৩ মে বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের দুলোবনিয়া এলাকায় পাহাড়ের বিবাদমান আঞ্চলিক দুই সশস্ত্র সংগঠন জনসংহতি সমিতি জেএসএস (সন্তু) ও ইউপিডিএফের (প্রসিতপস্থি) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই দিন বিকেল চারটায় বঙ্গলতলী এলাকার সুকেতন মাঠে গোলাগুলি শুরু হয়ে সন্ধ্যায় বন্ধ হয়। পরে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে আবারও দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে শুরু হয় বন্দুকযুদ্ধ।

৯ জুন বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় নির্বাচন কমিশন তা স্থগিত করে।

তারও আগে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে গত ২৯ মে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সেটিই ৯ জুন হওয়ার কথা ছিল।

এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন দুই জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুই জন প্রার্থী।

চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএনলারমা) সমর্থিত বর্তমান চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা (ঘোড়া)।

অপর প্রার্থী হলেন- আওয়ামী লীগ নেতা ইতিময় চাকমা অলিভ (আনারস)। স্থানীয়দের ভাষ্য, অলিভ চাকমাকে স্থানীয় আঞ্চলিক সংগঠন সন্তু লারমা জেএসএস ও ইউপিডিএফ সমর্থন দেওয়ায় নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র থেকে ফেরার পথে ৯ কিলোমিটার এলাকায় সন্ত্রাসিদের গুলিতে আট জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হন।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক