বুধবার , ১২ জুলাই ২০২৩ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

আমরা শান্তিকামী, কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদক
Newsdesk
জুলাই ১২, ২০২৩ ৬:৫৩ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ নৌ বাহিনী যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণসহ নিজেদের সক্ষমতা দিয়েই দেশের সুমদ্র সীমা রক্ষার কাজ করছে। নৌ বাহিনীর বহরে নতুন যুক্ত হওয়া চারটি জাহাজ এই বাহিনীর গৌরবের প্রতীক।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা শান্তিকামী জাতি, কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব যেন সুরক্ষিত থাকে, সেদিকে আমাদের দৃষ্টি। এ কারণে নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীকে সার্বিকভাবে উন্নত সমৃদ্ধ করার পদক্ষেপ নিয়েছি। যেন আন্তর্জাতিকভাবে মানসম্পন্ন ও দক্ষ হয়ে ওঠে। সেদিকে আমরা বিশেষভাবে পদক্ষেপ নিয়েছি। আত্মরক্ষা করার মতো ক্ষমতাও আমাদের থাকা দরকার।

বুধবার নৌবাহিনীর নবনির্মিত ঘাঁটি বানৌজা শের-ই-বাংলা, ৪১ পিসিএস-এর চারটি জাহাজ এবং চারটি এলসিইউ-এর কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আয়োজিত এ কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭৪ সালের ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে নৌবাহিনী দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণ থেকে উদ্বৃত করে এসব কথা বলেন।

শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নামে নতুন ঘাঁটি আর চার শহীদ নৌ সেনা আক্তার উদ্দিন ফরিদ দৌলত ও মহিবুল্লাহর নামে চার জাহাজ কমিশন পায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এইসবই নৌ বাহিনীর অর্জন।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে সমুদ্রসীমা অর্জনে একটা দীর্ঘ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। খুলনা শিপ ইয়ার্ড আগের সরকার বন্ধ করে দিয়েছিল। আজকের দিনে এমন জাহাজ তৈরির ভাবনা থেকে তখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নৌ বাহিনীকের ডক ইয়ার্ডের দায়িত্ব দিয়েছেন। এখন সমুদ্রসীমা রক্ষার কাজটি জরুরি।

তবে এইসব কাজে পররাষ্ট্রনীতির মূল দর্শন যুদ্ধ নয় শান্তি। বদরে যাওয়া বাংলাদেশে সুনীল অর্থনীতিতে কাজ করতে তিনি নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

নিজেদের জাহাজ তৈরির সক্ষমতার কথা তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, আজকে আমরা নিজেদের জাহাজ নিজেরা তৈরি করতে পেরেছি। আমরা চাই, আমাদের দেশ আরও এগিয়ে যাক। আমাদের নৌবাহিনী এখন অনেক সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ‘বায়ার নেভি’ (ক্রেতা) থেকে ‘বিল্ডার নেভি’তে (নির্মাতা) পরিণত হয়েছে।

দেশ-বিদেশে নৌবাহিনীর কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আমাদের নৌবাহিনী শুধু দেশে না, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনেও বিশাল অবদান রেখে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিকভাবেও সুনাম অর্জন করছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টি ন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের আওতায় সফলভাবে নিয়োজিত থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করছে।

দেশকে আরও সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, এটুকু দাবি করতে পারি, ২০০৯ সালে সরকারে আসার পর এই ২০২৩ সাল; আজকের বাংলাদেশ বদলে গেছে। বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। এ কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটির বেইজ কমান্ডার এবং সংশ্লিষ্ট জাহাজের কমান্ডারদের হাতে ‘কমিশনিং ফরমান’ তুলে দেন। বানৌজা শের-ই-বাংলা ঘাঁটি এবং নৌবাহিনীর আটটি জাহাজের ওপর একটি অডিও ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি

প্রদর্শন করা হয়।

 

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক