ইউক্রেন সংকটের কারণে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে চলমান উত্তেজনায় গত তিনদিনে এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো বৈঠকে বসবে সংস্থাটি। দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। বেশ কিছু কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া সেনা মোতায়েন বাড়ানোয় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। খবর এএফপির।
বুধবার শুরুর দিকে নিরাপত্তা পরিষদকে জরুরি বৈঠকে বসার জন্য সংস্থাটির পশ্চিমা সদস্য দেশগুলো এবং কিয়েভের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়। এরপরেই নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেয়। বৃহস্পতিবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়ার নির্দেশ দেয় ইউক্রেন। রাশিয়ায় বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ ইউক্রেনের নাগরিক বসবাস করছে। এমনকি অনেকেরই পরিবারের সদস্যরা এই দুই দেশেই অবস্থান করছেন।
এর পাশাপাশি জরুরি অবস্থা জারি করেছে ইউক্রেন। অপরদিকে রাশিয়া বলছে, তারা খুব শিগগির ইউক্রেনে নিযুক্ত তাদের দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেবে।এর আগে দেশটির পার্লামেন্টে বিদেশে নিজ দেশের সেনা মোতায়েনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অনুমোদন দেন আইনপ্রণেতারা। মস্কো বলছে, ইউক্রেনে অবস্থানরত তাদের দূতাবাস কর্মীদের সুরক্ষা দিতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।
রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা শুরুর পর বেশ কিছু পশ্চিমা দেশ তাদের দূতাবাস কিয়েভ থেকে পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে অবস্থিত লিয়েভ সীমান্তে সরিয়ে নিয়েছে। এদিকে সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমনকি ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনা মোতায়েনের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলছেন, মস্কোর নেতৃত্বের পক্ষ থেকে নিজেদের পদক্ষেপ আরও এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ অন্য দেশের ভূখণ্ডে। আর তাদের এমন পদক্ষেপের কারণেই ইউরোপ মহাদেশে একটি বড় যুদ্ধের সূচনা হতে পারে।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি আলোচনার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু পুতিন এর কোনো জবাব দেননি। ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এর আগে সেখানে এক লাখের মতো সেনা ছিল।
এদিকে ক্রেমলিন বলছে, ইউক্রেনে রুশপন্থি বিদ্রোহীরা কিয়েভের বিরুদ্ধে মস্কোর কাছে সহায়তা চেয়েছে। সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়ানোর পাশাপাশি কয়েক হাজার সামরিক যানও মোতায়েন করা হয়েছে।